চাঁদপুর: মতলব উত্তরে এখলাসপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে অবস্থিত হাজী তফেলা বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত না থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সফি আলমের যোগসাজশেই এই অনিয়ম চলেছে দীর্ঘদিন ধরে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হয় কীভাবে-এ প্রশ্নের জবাব প্রধান শিক্ষককে দিতে হবে। তাদের দাবি, প্রধান শিক্ষক নিজেই এ অনিয়মে জড়িত। এর আগেও তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই হজ্ব করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই যদি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেন, তাহলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
তারা দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
দেলোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, মাহফুজ’সহ একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন সপ্তাহে একদিন বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই চলে যান। গত ২২ জুলাই মঙ্গলবারও তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে মৌখিক ছুটি নিয়েছেন, যা সরকারি বিধিমালার পরিপন্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, শুধু শিক্ষক না, প্রধান শিক্ষকও এই কাজের সঙ্গে জড়িত। তাদের যোগসাজশে স্কুল না এসেও হাজিরা হয়! এই অনিয়ম বন্ধ না হলে শিক্ষার মান কোথায় যাবে?
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার জরুরি ব্যক্তিগত কাজ ছিল, এজন্য আজকে বিদ্যালয়ে যাইনি। আমি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে মৌখিকভাবে ছুটি নিয়েছি। নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাই।
হাজী তফেলা বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সফি আলমও বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাধারণত নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন। আজ একটি বিশেষ কাজ থাকায় মৌখিকভাবে ছুটি নিয়েছেন।
তবে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. বেলায়াত হোসেন বলেন, স্কুলে না গিয়ে মৌখিক ছুটি দেওয়ার কোনো বিধান নেই। যদি বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, তাহলে লিখিত ছাড়া ছুটি দেওয়া যাবে না। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখব।
এআর







































