ফাইল ছবি
কক্সবাজারে পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও এখনো পর্যটকের তেমন দেখা নেই। বছরের এ সময়টি সাধারণত ভরপুর থাকে পর্যটকের আনাগোনায়। সৈকত থেকে হোটেল-মোটেল-সব জায়গাতেই থাকে ভিড়। কিন্তু রাজনৈতিক টানাপোড়েন, জাতীয় নির্বাচনের আভাস, সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপনের বিধিনিষেধ-সব মিলিয়ে এবার পর্যটক সংখ্যা আশানুরূপ নয় বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
হোটেল–মোটেল মালিকদের ভাষ্য, আগের বছরগুলোতে এ সময়ে ৫০ শতাংশের বেশি রুম আগাম বুকিং থাকত। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশের মতো।
ঢাকার মিরপুর থেকে কক্সবাজারে ঘুরতে আসা তাহমিনা, বয়স ৩২। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই আসি। ভাবছিলাম আগের মতোই ভিড় থাকবে। কিন্তু সৈকত এবার ফাঁকা। ভিড় না থাকায় ঘোরাঘুরি সহজ হচ্ছে।’
পর্যটক কম আসায় হতাশ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটররা। ট্যুর অপারেটর আলাউদ্দিন বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপনের নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটক কম আসছে। ফলে আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।’
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সহসভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে পর্যটক আসা নিয়ে সংশয় আছেই। আবার ফেব্রুয়ারিতে রোজা। সব মিলিয়ে ঈদের আগে তেমন পর্যটক থাকার সম্ভাবনা কম।’
এ ছাড়া সেন্টমার্টিনে যাতায়ত সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ থাকায় অনেক পর্যটকই দ্বীপে যেতে পারছেন না। ১ নভেম্বর থেকে দ্বীপে যাতায়ত উন্মুক্ত করা হলেও যাত্রী সংকটের কারণে শুরু হয়নি জাহাজ চলাচল। তবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে রাত্রিযাপনের অনুমতি ফের চালু হলে জাহাজ চলাচল শুরু হবে বলে জানা গেছে। এতে পর্যটক সমাগম বাড়বে—এমন আশায় আছেন ব্যবসায়ীরা।
এসএইচ







































