ছবি: প্রতিনিধি
নীলফামারীতে আগাম জাতের আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। এবছর আগাম আলুর ফলন ও দাম কম থাকায় চাষীরা হতাশ। প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা উপজেলা দেশের আগাম আলু চাষের জন্য বিখ্যাত। এই এলাকায় আগাম আমন ধান কর্তনের পর খন্ড জমি পতিত রাখা হয় না। মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ দিনে সেভেন ও রুমানা জাতের আলু চাষ করা হয়।
কিন্তু এবছর অসময়ে বৃষ্টির কারণে আগাম আলুর ফলন আশানুরুপ হয়নি। দামও ভালো হয়নি। গেল বছর প্রতি কেজি আলু ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। ফলে লাভের আশায় চাষ করা কৃষকরা এবার লোকসানে পড়েছেন।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া গ্রামের আলু চাষি সেকেন্দার আলী বলেন, দেড় বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। রোববার আলু উত্তোলন করেছি, পেয়েছি ২৫০ কেজি। যেখানে ৭০০–৮০০ কেজি পাওয়ার কথা ছিল। খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা, বিক্রি করে পেয়েছি মাত্র ১৩ হাজার ৭৫০ টাকা। তাই আমার লোকসান ৪০ হাজার টাকা।
উত্তর দুরাকুটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার ১ বিঘা জমিতে আলু হয়েছে ৩০০ কেজি। খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা, বিক্রি করে পেয়েছেন ১৮ হাজার টাকা। তার লোকসান হয়েছে ২২ হাজার টাকা। তিনি জানান, তার মতো এবছর প্রায় সব আগাম আলু চাষী লোকসানে পড়বেন।
সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা গ্রামের মোশ্বাবের হোসেন জানান, বীজ বপনের পরপরই টানা তিনদিন বৃষ্টিতে আলুর অনেক বীজ নষ্ট হয়েছে। এছাড়া পুরাতন আলুর দাম কম থাকায় নতুন আলুর দামও কম।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর নীলফামারী জেলায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে। ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৫ হেক্টর জমির আগাম আলু উত্তোলন হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর রহমান বলেন, দেশের অন্যান্য জেলার আগে নীলফামারীতে আলু ওঠে। এবছর পুরাতন আলু পর্যাপ্ত থাকায় দাম আশানুরুপ হয়নি। এছাড়া বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আগাম আলুর ক্ষতি হয়েছে।
এসএইচ







































