ফাইল ফটো
ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী প্রকাশক ও ব্লগার ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আট জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বরখাস্তকৃত মেজর জিয়া, আকরাম হোসেন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক আছে।
এর আগে আট আসামির মধ্যে কারাগারে আটক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার জাকির আট আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে আইনজীবীরা তাদের নির্দোষ দাবি করে খালাস প্রত্যাশা করেন। এর আগে গত ৪ জানুয়ারি আত্মপক্ষ সমর্থনে কারাগারে আটক ছয় আসামি আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে দীপন কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিনই তার স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ডিবির সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমান আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটির অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে মোট ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
এ মামলার মোট ৮ আসামির মধ্যে ছয়জন কারাগারে আটক রয়েছে। কারাগারে আটক প্রত্যেক আসামি আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তি দেন।
সোনালীনিউজ/এমএইচ







































