ঢাকা: দেশের শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দুর্নীতি দ্রুত অনুসন্ধানের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ।
একই সঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মতিঝিলেও বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে এবং মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আগের কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
দুদকের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা বলেন, খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ছিলেন বিতর্কিত ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।
যিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়াঁ আরজু ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের নেতৃত্বাধীন সংঘবদ্ধ আর্থিক দুর্নীতি চক্রের বিরুদ্ধে কিছুই করেননি।
বরং সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করার অভিযোগ আছে। যে কারণে অন্যদেরসহ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ২৬৪ কোটি টাকার ঋণ অনিয়মে তদন্ত শুরু করে।
২০২৩ সালের ১১ জুন দুদুকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের স্মারক নম্বরে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের এ অ্যান্ড আউট ওয়্যার লিমিটেড, নর্ম আউট লিমিটেড এবং কোল্ড প্রেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদীনকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ২৬৪ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ তোলা হয়। ওই সময় ব্যাংকটির এমডি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন রাশেদ মাকসুদ। তিনিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক।
বিক্ষোভ থেকে বিনিয়োগকারীরা বলেন, মাকসুদ শেয়ারবাজার বোঝেন না। এটা শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদেরও। তাই মাকসুদের অপসারণ করা উচিত।
এদিকে, মতিঝিলে বিক্ষোভ থেকে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অপসারণ দাবি করেছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। তারাও মাকসুদের অপসারণ দাবি করেন।
তাদের দাবি, মাশরুর রিয়াজকে নিয়ে সামান্য বিতর্ক উঠতেই তিনি আর বিএসইসিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেননি। অথচ এখন সবাই মাকসুদের বিপক্ষে এবং তার পদত্যাগ চায়। কিন্তু তারপরও নির্লজ্জ মাকসুদ পদত্যাগ করছেন না। এ থেকেই তার অযোগ্যতার পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব না থাকার বিষয়টিও ফুটে উঠেছে।
এআর