• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিগগিরই নিয়োগ পাচ্ছেন ২১৫৫ শিক্ষক


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৪, ২০২১, ০৫:৫১ পিএম
শিগগিরই নিয়োগ পাচ্ছেন ২১৫৫ শিক্ষক

ফাইল ছবি

ঢাকা : আগামী এক মাসের মধ্যে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সুপারিশ পাওয়াদের যোগদান কার্যক্রম শুরু করবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। প্রায় দেড় বছর পর নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন দেশের মাধ্যমিক স্কুলের শূন্যপদে ২ হাজার ১৫৫ জন শিক্ষক। শূন্যপদের বিপরীতে সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। 

জানা যায়, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর পিএসসি থেকে ২ হাজার ১৫৫ জনকে সরকারি মাধ্যমিকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। এরপর তাদের ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য সংগ্রহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশ ভ্যারিফিকেশন কাজ শুরু করা হয়। সম্প্রতি তাদের যোগদান শুরু করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে মতামত চাওয়া হয়। যোগদান পাওয়ার ৫ বছর পর এসব শিক্ষকরা বিএড সম্পন্ন করবেন। 

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পেলে সুপারিশ পাওয়াদের যোগদান শুরু করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশের ৩১৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট আছে। সবশেষ ২০১১ সালে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে বিসিএসের নন-ক্যাডারদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছিল। তবে বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে স্কুলগুলোর জন্য বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছিল না।

এছাড়া বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে যারা শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়ে আসেন, তাদের বেশিরভাগই পরে অন্য চাকরিতে চলে যান। এতে বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক সঙ্কট থেকেই যায়। মুজিববর্ষ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শূন্য রাখা হবে না, সরকারের এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এককভাবে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করে পিএসসি।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে লিখিত পরীক্ষা হয়। ওই বছরের নভেম্বরে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। চলতি বছর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এখন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করে তাদের নিয়োগ দিতে সুপারিশ করবে পিএসসি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের কাজ শেষ হবে বলে আশা করি। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। সেটি পেলে যোগদান শুরু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ২০২০ সাল পর্যন্ত শূন্য আসনে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তার সঙ্গে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কী পরিমাণে শিক্ষক শূন্য হতে পারে সে তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে চাওয়া হয়েছে। পরে বিসিএস পরীক্ষার নন-ক্যাডার থেকে সেসব পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!