ছবি: সংগৃহীত
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ৭৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সংখ্যা ৩৪৭ এবং বাকিরা ঢাকা সিটির বাইরে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮৩ হাজার ৮৫৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৮০ হাজার ২৪৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩১ জনে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছিল। ওই বছরে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হন এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
প্ররিত্রাণের উপায়...
ডেঙ্গু প্রধানত এডিস মশা-এর কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এ কারণে মশার ডিম ফোটার জায়গা বন্ধ করা জরুরি:
বাড়ির চারপাশে পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
টবে, ফুলদানি, পানির বোতল বা ব্যবহার না হওয়া যে কোনো বস্তুর পানি ফেলে দিন।
টিউব/টায়ার, ঢাকনা ছাড়া পাত্রে পানি জমতে দেবেন না।
বৃষ্টির পানি জমতে দেওয়া জঞ্জাল/পাত্র পরিষ্কার রাখতে হবে।
বেডনেট বা মশারি ব্যবহার করুন, বিশেষ করে রাতে।
মশার তেল বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
ঘরে মশারি জাল লাগানো বা উইন্ডো-কভার ব্যবহার করুন।
মশার বাচ্চা (লার্ভা) ধ্বংস করতে লার্ভা কিলার বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা যায়।
বাহিরে গেলে লম্বা হাতা ও প্যান্ট পরুন।
অদৃশ্য মশার কামড় রোধের জন্য মশার প্রতিরোধী লোশন বা স্প্রে ব্যবহার করুন।
রাতে ঘরে ঘুমানোর সময় সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।
ডেঙ্গুর প্রাথমিক উপসর্গ: জ্বর, মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা, সর্দি-কাশি, শরীর ব্যথা।
উপসর্গ দেখা দিলে অল্প দেরিতেও হাসপাতালে বা ক্লিনিকে যান।
পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাদ্য খেতে হবে।
এলাকার মশার জন্মস্থল পরিষ্কার রাখতে সকলে মিলে কাজ করুন।
সরকারি বা স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে সহযোগিতা করুন।
এসএইচ







































