• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

অক্সিজেন দিতে ৫ মিনিট দেরি, প্রাণ গেল ১১ করোনা রোগীর


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ১১, ২০২১, ১১:২৯ এএম
অক্সিজেন দিতে ৫ মিনিট দেরি, প্রাণ গেল ১১ করোনা রোগীর

ছবি : ইন্টারনেট

ঢাকা : করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ।

ওয়ার্ল্ডো মিটারের মঙ্গলবার সকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৫১৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৭৯ জন।

এ নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ২ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৯২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ২৫ জন।

করোনার বৈশ্বিক সংক্রমণে ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। আর মৃত্যুর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।

এদিকে অক্সিজেনের অভাবে সোমবার ১১ জন কভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতির শ্রীভেঙ্কটেশ্বর রামনারায়ণ রুইয়া সরকারি হাসপাতালে।

আনন্দবাজার জানায়, অক্সিজেনের সরবরাহে সমস্যা হয়েছিল। তাই আইসিইউ-তে থাকা রোগীরা বেশ কিছুক্ষণ প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাননি। তার জেরেই এই ১১ জনের মৃত্যু হয়।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতায় কার্যত ভেঙে পড়ে ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা। অক্সিজেনের অভাবে বহু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে দেখা দিয়েছে টিকা সংকটও।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, অক্সিজেনের সিলিন্ডার ভরতে পাঁচ মিনিট দেরি হয়েছিল। তার জেরে একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। তারা সবাই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। 

এ ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

চিত্তুরের জেলাশাসক এম হরি নারায়ণ জানিয়েছেন, ‘সরকারি রুইয়া হাসপাতালে অক্সিজেনের সিলিন্ডার ভরতে পাঁচ মিনিট দেরি হয়েছিল। কিছুক্ষণের জন্য কমে গিয়েছিল অক্সিজেনের চাপ। তার ফলে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবারও অক্সিজেনের জোগান শুরু হয়েছিল। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে। সেই কারণে আরও প্রাণহানি এড়ানো গেছে।’

প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশে গত এক সপ্তাহ ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২১-২২ হাজারের ঘরে ঘোরাফেরা করছে। রোজ ১০০-র কাছাকাছি প্রাণহানির পাশাপাশি রাজ্যটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!