ঢাকা : গত ৭ অক্টোবর থেকে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অব্যাহত বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সংঘাতের শুরু থেকেই উপত্যকাটিতে কঠোর অবরোধ দিয়ে রেখেছে দেশটি। এর ফলে মানুষের মৌলিক চাহিদার খাবার, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি কোনও কিছুই প্রবেশ করতে পারছে না উপত্যকাটিতে। এতে করে দিন দিন খাবার ও পানির অভাবে মানবিক সংকটে অঞ্চলটির বাসিন্দারা।
তবে গেল সপ্তাহ থেকে গাজাতে অল্প পরিসরে ত্রাণ প্রবেশ করতে দেয় ইসরায়েল। এবার এই ত্রাণের গুদামেই হামলা চালিয়েছে গাজার হাজার হাজার ক্ষুধার্ত বাসিন্দা। খবর বিবিসি।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে যে, ‘গাজার হাজার হাজার বাসিন্দা দক্ষিণে অবস্থিত জাতিসংঘের ত্রাণ গুদাম ও বিতরণ কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে এবং আটাসহ অন্যান্য মৌলিক সরবরাহ নিয়ে যাচ্ছে।‘
এক বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, "এটি একটি উদ্বেগজনক লক্ষণ যে তিন সপ্তাহের যুদ্ধ এবং গাজায় কঠোর অবরোধের পর বেসামরিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "মানুষ ভীত, হতাশাগ্রস্ত এবং মরিয়া। ফোন এবং ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় উত্তেজনা ও ভয় আরও খারাপ হয়েছে।"
রোববার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত ইউএনআরডব্লিউএর বিবৃতিতে কোন গুদামে অভিযান চালানো হয়েছে বা কখন এটি ঘটেছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
তবে পরবর্তীতে বার্তাসংস্থা এএফপি নিউজ এজেন্সি জানায় যে স্থানীয় সময় শনিবার দক্ষিণ গাজা উপত্যকার দেইর এল-বালাহতে ত্রাণ সরবরাহ কেন্দ্রে হামলা চালায় ফিলিস্তিনিরা এবং খাবারের ব্যাগ বহন করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস জানিয়েছেন যে, গত সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ তীব্র হওয়ায় ত্রাণ সরবরাহ সবচেয়ে কম হয়েছে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :