ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আন্তর্জাতিক নৌবহরে হস্তক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। নৌবহর থেকে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ কয়েকজন আন্তর্জাতিক কর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর রাতে তাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
একটি ১২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি এক সেনা গ্রেটার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র তুলে দিচ্ছেন তাকে। এই সংক্ষিপ্ত ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
এই অভিযানে ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের মানবিক নৌবহরের একাধিক জাহাজ থামিয়ে ইসরায়েলি নৌবাহিনী বন্দরে নিয়ে গেছে। নৌবহরটির উদ্দেশ্য ছিল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১৪৯ কিলোমিটার (৮০ নটিক্যাল মাইল) দূরে অবস্থান করার সময়ই বহরটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ইসরায়েলি ঘেরাও শুরু হয়।
ইসরায়েল শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, এই নৌবহরের সঙ্গে হামাসের যোগসূত্র রয়েছে, যদিও এখনও তারা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
আলজাজিরার সাংবাদিক হায়াত ইয়ামানি, যিনি বহরে ছিলেন, জানান যে অন্তত ১২টি অজ্ঞাতনামা জাহাজ তাদের প্রধান জাহাজের চারপাশে ঘুরছিল। আয়োজকরা সন্দেহ করছেন, এগুলো ইসরায়েলি নৌবাহিনীর জাহাজ।
সারা বিশ্বের ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান নিয়ে এই নৌবহরটি গঠিত হয়েছিল। যাত্রায় অংশ নিয়েছেন চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্যরাও।
এই আন্তর্জাতিক উদ্যোগে বাংলাদেশ থেকেও অংশ নিয়েছেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তিনি ইতালির একটি বন্দর থেকে প্রধান নৌযান “কনশানস”-এ ওঠেন এবং গাজার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
এই ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় এভাবে বেসামরিক ত্রাণ মিশনে হস্তক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।
এম







































