• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩০

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার: ৩ জনকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকা


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার: ৩ জনকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকা

ঢাকা: ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন তালিকায় তিনজনের নাম বাদ দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তারা হলেন- মোহাম্মদ হাননান, ফারুক নওয়াজ ও সেলিম মোরশেদ।

তাদের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির ফেসবুক পেইজ থেকে জানানো হয়েছে।
 
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৫ জানুয়ারি তালিকাটি স্থগিত করা হয়। তখন বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তালিকার কারও কারও বিষয়ে ‘কিছু অভিযোগ আসায়’ তালিকাটি স্থগিত করা হলো। 

বাংলা একাডেমি ওই দিন তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর পুরস্কারের তালিকাটি পুনঃপ্রকাশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার একদিন পর বুধবার রাতে মোহাম্মদ হাননান, ফারুক নওয়াজ ও সেলিম মোরশেদের নাম বাদ দেওয়ার কথা জানানো হয়।

আগের তালিকায় মোহাম্মদ হাননানকে মুক্তিযুদ্ধ ও ফারুক নওয়াজকে শিশুসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। আর কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা স্থগিতের পর ২৭ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। তাকে কথাসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল।

বুধবারের সভায় স্থগিতকৃত পুরস্কৃত লেখক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। সেই অনুযায়ী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন মাসুদ খান (কবিতা), শুভাশিস সিনহা (নাটক ও নাট্যসাহিত্য), সলিমুল্লাহ খান (প্রবন্ধ/গদ্য), জি এইচ হাবীব (অনুবাদ), মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া (গবেষণা), রেজাউর রহমান (বিজ্ঞান), সৈয়দ জামিল আহমেদ (ফোকলোর)।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক নাম উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার নীতিমালা’র চতুর্থ অধ্যায়, নবম ধারা অনুযায়ী নির্বাহী পরিষদ নতুন কাউকে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করতে পারবেন না এবং দশম ধারা অনুযায়ী সুপারিশকৃত কোনও নাম বিবেচনা না করার ক্ষমতা ‘বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদ’ সংরক্ষণ করেন।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা ও স্থগিতের পর বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। ২৫ জানুয়ারি ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী বলেন, ‘পাশাপাশি এটাও বলা প্রয়োজন, যে আজব নীতিমালা এই ধরনের উদ্ভট এবং কোটারি পুরস্কারের সুযোগ করে দেয় সেগুলা দ্রুত রিভিউ করা আমাদের প্রথম কাজ। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি কীভাবে পরিচালিত হবে, কোন সব নীতিতে চলবে- এই সব কিছুই দেখতে হবে। একাডেমির আমূল সংস্কারের দিকে আমরা যাবো এখন। দেশের সংস্কার হবে, বাংলা একাডেমির সংস্কার কেন নয়?’

এম

Wordbridge School
Link copied!