ফাইল ছবি
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিবাদে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি ১:৪ অনুপাতে নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছে। সময়সীমা মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনের নেতারা তাদের মূল দাবিগুলো তুলে ধরেন। প্রস্তাবিত নতুন কাঠামোয় ১২টি গ্রেডে সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। নবম পে-স্কেলকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ ও আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করার দাবি করা হয়।
নেতারা জানান, দীর্ঘদিনের বঞ্চনা দূর করতে ২০১৫ সালের পে-স্কেল থেকে বাদ পড়া তিনটি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করতে হবে। বেতন জ্যেষ্ঠতা ফিরিয়ে আনা, সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্র্যাচুইটির পাশাপাশি পেনশন চালুর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বর্তমান গ্র্যাচুইটি হার ৯০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ এবং পেনশন গ্র্যাচুইটিতে প্রতি ১ টাকার সমমান ৫০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।
সমাবেশ থেকে আন্দোলন কর্মসূচিরও ঘোষণা দেওয়া হয়। সংগঠনের সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, পে কমিশনের সুপারিশ জমা ও গেজেট প্রকাশের সময়সীমা অমান্য হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ৫ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহাসমাবেশ ও টানা অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক ওয়ারেছ আলীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর কর্মচারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
এসএইচ







































