শুক্রবার সকালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পে একযোগে সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন থেমে যায়। ফলে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। তবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) জানিয়েছে, সন্ধ্যার মধ্যে সব বন্ধ কেন্দ্র পুনরায় উৎপাদনে ফিরে এসেছে। তবুও কিছু এলাকায় এখনও সরবরাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি।
পিডিবির এক কর্মকর্তা জানান, কয়েকটি কেন্দ্র ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। টেকনিক্যাল টিম দ্রুত কাজ শুরু করায় সন্ধ্যার মধ্যেই অধিকাংশ কেন্দ্র উৎপাদন শুরু করে এবং সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে ফিরে যায়।
পিডিবি জানায়, বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে বিবিয়ানা-২ (সামিট) ৩৪১ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ প্রিসন এনার্জির ৫৫ মেগাওয়াট, এবং আশুগঞ্জ টিএসকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ভূমিকম্পের সময় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। চট্টগ্রামের এসএস পাওয়ারের ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট চালু ছিল, সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া বাকীগুলো হলো পিডিবির ৪০০মেগওয়াট বিবিয়ানা-৩ ১৩৪ মেগাওয়াটের একটি, আশুগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের ৭৫ মেগাওয়াটের একটি, এবং সিরাজগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ৭৫ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট বন্ধ হয়।
সে সময় আরও কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করা হলেও পরে আর তা হয়নি। এদিকে শুক্রবার হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় লোডশেডিং হওয়ার তেমন কোনো শঙ্কাও ছিল না।
অন্যদিকে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) জানিয়েছে, অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। তারা দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানায়।
এছাড়া ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘোড়াশাল উপকেন্দ্র। জানা যায়, সকালে ভূমিকম্প শুরু হলে ঘোড়াশাল এআইএস গ্রিড সাবস্টেশনে আগুন লেগে যায়। এতে ইনসুলেটর, আইসোলেটর ও ব্রেকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে উপকেন্দ্রের ২৩০ কিলোভোল্ট, ১৩২ কিলোভোল্ট এবং ৩৩ কিলোভোল্টের সব গ্রিডলাইনে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।
এম







































