ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল বা ইবনে সিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দলের কোনো মালিকানার সম্পর্ক নেই।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিএনপির দাবি আমাদের কাছে দুঃখজনক। ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনার মতো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা নিয়ে জামায়াতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে। বিএনপিও অনেক বড় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে; চাইলে আমরা তাও অভিযোগ করতে পারতাম, কিন্তু তা করিনি।
তিনি আরও জানান, দল লিখিতভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর ১৮ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে। এতে প্রস্তাব করা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোট সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া, জুলাই সনদে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, তা জনগণের কাছে জানানো জরুরি। একই দিনে ভোট হলে নির্বাচনী সহিংসতা এবং ভোট কাস্টিং কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে সম্প্রতি নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংশোধনের একটি বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের নির্ধারিত প্রতীকে ভোট পাবে; জোটবদ্ধ রাজনীতিতেও প্রতীক পরিবর্তন করা যাবে না। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে, যা আমাদের জন্য দুঃখজনক।
বৈঠকে বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কমিশন কাজ করছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি দলের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। দলে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিন ও দক্ষিণের সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুল।
এর আগে বিএনপির অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এসএইচ







































