• ঢাকা
  • বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতদের মনোনয়ন দিচ্ছে এনসিপি


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম
বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতদের মনোনয়ন দিচ্ছে এনসিপি

ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভেতরে মনোনয়ন বঞ্চনার ফলে দলত্যাগের খবর নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিচ্ছেন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা, যা মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দলটির জন্য নতুন চাপ সৃষ্টি করছে।

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের উদাহরণ স্পষ্ট করে দিচ্ছে এই ধারা। বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছিলেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক মহাজোটের যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল ইসলাম সেলিম। এবার তিনি এনসিপির মনোনয়ন পেয়ে শাপলা কলি প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ভোট ভাগাভাগির পাশাপাশি বিএনপির ঐক্যহীনতার ইঙ্গিত বহন করছে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মনজুর কাদের। জাতীয় পার্টির আমলে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মনজুর কাদেরের প্রার্থীতা দলটির জন্য শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যদিও এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিএনপি’র মনোনয়ন না পাওয়া তরুণ ও যুবনেতাদের দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি জানিয়েছেন ‘যারা বিএনপির মনোনয়ন পাননি, তারা যদি এনসিপিতে যোগ দেন-আমরা তাদের স্বাগত জানাব। বিএনপি তরুণদের বাদ দিয়ে গডফাদারদের মনোনয়ন দিয়েছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা এবং স্থানীয় নেতৃত্বের অমিল এনসিপি বা অন্যান্য ছোট দলগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি করছে। মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা যখন নতুন দলগুলোতে যোগ দিচ্ছেন, তখন এটি আসন্ন নির্বাচনে ভোট ভাগাভাগি এবং স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে।

দলীয় সূত্র বলছে, মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের এনসিপিতে যোগদান শুধু নির্বাচনী কৌশল নয়; এটি দীর্ঘদিন ধরে থাকা ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা এবং স্থানীয় জনপ্রিয়তার সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষ করে যারা বিএনপির সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন, তাদের নতুন রাজনৈতিক অবস্থান স্থানীয় ভোটারদের মনোভাবকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এনসিপির এই পদক্ষেপ বিএনপির জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। একটি নির্বাচনী আসনেই নয়, বরং বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের যোগদানের ফলে ভোটের বিভাজন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ফলে বিএনপির ভেতরের মনোনয়ন নীতি ও নেতৃত্বের স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিতে হবে, নয়তো আগামী নির্বাচনে দলের প্রভাবিত আসন সংখ্যা কমতে পারে।

সার্বিকভাবে দেখা যায়, বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের এনসিপিতে যোগদান নির্বাচনী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন সমীকরণের সূচনা করছে। এটি শুধু আসন-সংখ্যার দিক থেকে নয়, দলের নেতৃত্বের ভাবমূর্তি ও স্থানীয় রাজনৈতিক ভারসাম্যের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

এসএইচ 

Wordbridge School
Link copied!