ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় যাত্রীবাহী সব বাস চলবে ‘ঢাকা নগর পরিবহনের’ আওতায়। তবে বাসগুলোর মালিকানা থাকবে কোম্পানিগুলোর কাছে। নগর পরিবহনের আওতায় বাস পরিচালনার জন্য কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হবে।
ঢাকার যানজট নিরসন এবং যাত্রীদের আরামদায়ক পরিবহনসেবা দিতে পুনরায় ঢাকা নগর পরিবহন চালুর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে কমিটির ২৯তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম।
প্রশাসক নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় পরিবহনব্যবস্থার সমস্যার কোনো শেষ নেই। এসব নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে সুযোগ এসেছে, তাকে কাজে লাগিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে তিনি আশা করেন।
নগর পরিবহনের বাস কবে চালু হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাস কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হবে। পরে কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে রুট (চলাচলের শুরু ও শেষের গন্তব্য) ঠিক করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া আগামী ১১ ডিসেম্বর আরেকটি সভা আছে।
সভার আগে কমিটি সুপারিশগুলো দেবে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চালক ও সহযোগীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বন্ধে বাসভাড়া পরিশোধের জন্য র্যাপিড পাস কিংবা অনলাইনে পরিশোধের পদ্ধতি চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, নগর পরিবহনের অধীন বাস চালানোর জন্য বাস কোম্পানিগুলোর কাছে আবেদন চাওয়া হয়েছিল। এতে বিপুল পরিমাণে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০টি বাস কোম্পানি আবেদন করেছে। যে বাস কোম্পানি যে রুটে বাস চালাচ্ছে, সেই রুটেই যাতে চালাতে পারে, এমন পরিকল্পনার কথা ভাবছেন বলেও জানান তিনি।
ফুটপাত দখলমুক্ত করার বিষয়ে পরিবহন-বিশেষজ্ঞ সালেহ উদ্দিন বলেন, ফুটপাত সব সময়ই যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মানুষকে হাঁটতে সুযোগ দিতে হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত করে বাজার-ঘাট সরিয়ে দিলে ৬০ শতাংশ মানুষ রিকশায় চলাচল বাদ দিয়ে হেঁটে চলবে।
এআর