ঢাকা: একসময় যে প্রতিষ্ঠানে ছিলেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবার সেটাই কিনতে আগ্রহী বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। তবে শুধু আগ্রহ প্রকাশ করেই থেমে থাকেননি তিনি,গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ৯৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রস্তাব (অফার) করেছেন চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই-কে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির মালিক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই অবশ্য এরুপ কোনো প্রস্তাব বা অফার পেয়েছে বলে স্বীকার করেনি। তাঁরা বরং এর সমালোচনা করেছে এবং সিইও স্যাম অল্টম্যান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, এমন কোনো অফার এলেও তাঁর প্রতিষ্ঠান সেটা নাকচ করে দিবে।
সোমবার ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন একটি কনসোর্টিয়ামের তরফ থেকে ৯৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের অফার ই-মেইল করা হয় ওপেনএআই’র প্রতিনিধিত্বকারী আইন সংস্থাকে (ল ফার্ম)। ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো অধিগ্রহণের প্রস্তাবের অংশ হিসেবে অফারে চার পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত লেটার অব ইনটেন্ট বা উদ্দেশ্য পত্র সংযুক্তি (অ্যাটাচমেন্ট) আকারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে মাস্কের তরফ থেকে তাঁর আইনজীবী মার্ক টোবেরফ নিশ্চিত করেছে।
তবে ওপেনএআই’র পরিচালনা পর্ষদ এখনও পর্যন্ত এমন কোনো প্রস্তাব পায়নি বলেই জানিয়েছে বিষয়-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। তবে মাস্কের আইনজীবী টোবেরফ বলছে, ওপেনএআই’র পরিচালনা পর্ষদকে উদ্দেশ্য করে পাঠানো ই-মেইলটি’তে মাস্কসহ স্বাক্ষর করেছেন কনসোর্টিয়ামের অন্যান্য বিনিয়োগকারীরাও। এর মাধ্যমে ওপেনএআই’র যাবতীয় সম্পদ (অ্যাসেট) অধিগ্রহণের প্রস্তাব করেছে মাস্কের কনসোর্টিয়াম।
ইলন মাস্কের অফার সম্পর্কে জানতে চাইলে মঙ্গলবার ওপেনএআই’র সিইও স্যাম অল্টম্যান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান যে, ওপেনএআই বিক্রির জন্য নয়। মাস্কের এমন অফারকে তিনি ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন অল্টম্যান।
অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে ওপেনএআই তাঁদের ব্যবসার একটি অংশকে লাভজনক কাঠামোয় পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতেই এমনটা করেছে তাঁরা।
একসময়ের অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত না হোক- সেজন্য সম্ভাব্য প্রায় সব কিছুই করেছে এক্সএআই স্টার্টআপের মালিক ইলন মাস্ক। এই প্রেক্ষাপটেই এবার ওপেনএআই-কে কিনে নেওয়ার প্রস্তাব পাঠালেন মাস্ক। তবে তাতে অল্টম্যান সাড়া দিবেন বলে মনে হচ্ছে না। বিশেষ করে ১৫৭ বিলিয়ন ডলার বাজারমূল্যের প্রতিষ্ঠানকে কেনার জন্য আপনি যখন ১০০ বিলিয়নেরও কম অফার করবেন, তখন এমন প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা যে শূন্যের কোঠায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইউআর