• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়ছে রোগী, আইসিইউর চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি


বিশেষ প্রতিনিধি মার্চ ১৯, ২০২১, ০২:৪৯ পিএম
বাড়ছে রোগী, আইসিইউর চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি

ঢাকা : দেশে করোনার সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত মাসের তুলনায় এ মাসের বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত দ্বিগুণেরও বেশি রোগী বেড়েছে কভিড হাসপাতাল ও ইউনিটগুলোতে।

তবে প্রথম দফার করোনা রোগীর তুলনায় এবারের রোগীরা অনেক বেশি জটিল। সামান্য জ্বর নিয়ে আসা রোগীদের অধিকাংশেরই কিছুক্ষণের মধ্যেই ডায়রিয়া শুরু হচ্ছে, দেখা দিচ্ছে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট।

এমনকি আগের তুলনায় এবার রোগীদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও হাই-ফ্লো অক্সিজেন বেশি লাগছে। মধ্যবয়সের নিচে অর্থাৎ ৩০-৪০ বছরের রোগীর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

এমন অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ সংকট শুরু হয়েছে। এখনো গুটিয়ে ফেলা কভিড হাসপাতাল ও ইউনিট পুরোপুরি চালু না হওয়ায় রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হতেও কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। বেড ও আইসিইউ পেতে প্রতিদিনই ফোন পাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বিশেষ করে আইসিইউ ও হাই-ফ্লো অক্সিজেনের চাহিদা প্রথম দফার করোনা রোগীদের তুলনায় এবার অনেক বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। এ বেসরকারি হাসপাতাল প্রথম থেকেই করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।

এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, আটজন রোগী এলে দুজনের আইসিইউ লেগে যায়। অর্থাৎ প্রায় ২৫ শতাংশ রোগীর আইসিইউ লাগছে। আগে কম ছিল। সবমিলে ৮-১০ শতাংশের বেশি লাগত না। হাই-ফ্লো অক্সিজেন প্রায় সবারই, অর্থাৎ ৮০-৯০ শতাংশ রোগীর লাগছে। এটাও ৫০-৬০ শতাংশ রোগীর লাগত।

এমন অবস্থায় সরকারকে কভিড চিকিৎসার সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ব্যাপারে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, যেসব কভিড হাসপাতাল বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলো চালু করা দরকার। নতুন আইসিইউ বসানো দরকার। যেখানে রোগী বেশি সেখানে আবার কভিড ওয়ার্ড চালু করতে হবে। হাই-ফ্লো অক্সিজেনের অভাব নেই। এখন দরকার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা আবার বাড়ানো।

অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো সক্ষমতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, কভিড হাসপাতাল যেরকম ছিল, সেরকমই আছে। আগে অনেক হাসপাতালে আইসিইউ ছিল না, এখন সেখানে দেওয়া হয়েছে। আইসিইউ সংখ্যা বেড়েছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন হয়েছে। অক্সিজেনের সিলিন্ডার বাড়ানো হয়েছে। প্রথমে জনবলের সংকট ছিল। চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে জনবলও বেড়েছে। আগে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হতো, এখন সেটা নেই। যে কভিড হাসপাতাল ও ইউনিটগুলো সাময়িক বন্ধ করা হয়েছিল, সেগুলো আবার চালু করতে বলা হয়েছে। সেগুলো চালু হচ্ছে।

এ কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের যে সক্ষমতা, সেটা দিয়ে ব্যবস্থা করতে পারছি। আশা করি কোনো অসুবিধা হবে না।

রোগী ও আইসিইউ চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি : এ মাসের শুরু থেকেই দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে কভিড হাসপাতাল ও ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। গত ১৮ দিনে আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের কভিড হাসপাতালগুলোতে ৫৮২টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৪৭ জন। সেখানে গতকাল এসব আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৬ জন। অর্থাৎ ১৮ দিনের ব্যবধানে আইসিইউতে রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

এছাড়া কভিড হাসপাতালের সাধারণ শয্যাগুলোতেও রোগী বেড়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কভিড হাসপাতালগুলোর মোট ১০ হাজার ৩২৩টি সাধারণ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিলেন ১ হাজার ৩৮১ জন। আর গতকাল সেখানে রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪০৭ জন। অর্থাৎ ১৮ দিনের ব্যবধানে রোগী বেড়েছে প্রায় ৭৫ ভাগ।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর তুলনায় দেশের অন্যান্য স্থানেও আইসিইউতে রোগী বাড়ার হার বেশি। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দুই মহানগরীর বাইরে দেশের অন্যান্য কভিড হাসপাতালের ৩৪০টি আইসিইউতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রোগী ভর্তি ছিলেন ২৬ জন। অথচ গতকাল এসব আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৩ জন।

অর্থাৎ ১৮ দিনের ব্যবধানে রোগী বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে আইসিইউ রোগী বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২৯৭টি আইসিইউতে ২৮ ফেব্রুয়ারি রোগী ভর্তি ছিলেন ১০৪ জন।

আর গতকাল ভর্তি ছিলেন ২০১ জন। তবে চট্টগ্রাম মহানগরীর আইসিইউতে সে হারে রোগী বাড়েনি। এই মহানগরীর হাসপাতালগুলোতে ২৮ ফেব্রুয়ারি রোগী ভর্তি ছিলেন ১৭ জন, গতকাল এ সংখ্যা ছিল ২২ জন। এছাড়া ১৮ দিনের ব্যবধানে ঢাকা মহানগরীতে সাধারণ শয্যায় রোগী বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাজমুল হক বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যানের সঙ্গে আমাদের হাসপাতালেও করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৫-১০ শতাংশ রোগী বেড়েছে। যেখানে আগে নিম্নমুখী ছিল, সেটা এখন ঊর্ধ্বমুখী। এখানে সবসময় জটিল রোগী নিয়েই কাজ করি।

যাদের আইসিইউ লাগছে, তাদের দিতে পারছি। আইসিইউ ছাড়া আরও ৪০ বেড আছে করোনার, সেগুলোর কার্যক্রম আছে। আইসিইউ বাড়ানোর ব্যবস্থা করছি। মোট ২৪টি কভিড ডেডিকেটেড আইসিইউ ছিল। ১৪টি নষ্ট হওয়ার পর এখন ১০টি আছে। ইতিমধ্যে আমরা পাঁচটি আইসিইউ বেড বৃদ্ধি করেছি। এখন ১৫টিতে রোগী ভর্তি করাতে পারছি।

কভিড রোগী কমে যাওয়ায় করোনা ১০০ শয্যার করোনা ওয়ার্ডের ৩০টি শয্যা নন-কভিড করেছিল শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ। এখন সেই শয্যা আবার চালু করার চিন্তাভাবনা করছে তারা। তবে এখনো কভিড রোগীদের জন্য আইসিইউ বেড চালু হয়নি এ হাসপাতালে।

এ ব্যাপারে হাসপাতাল পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, রোগী আগের চেয়ে বেশ বেড়ে গেছে। ওয়ার্ড খালি পড়েছিল। এখন প্রায় ভর্তি। প্রথম থেকে ১০০ বেডের কভিড ইউনিট ছিল। এখানে নন-কভিড রোগী অনেক।

যখন কভিড রোগী কম ছিল, আসে না, তখন আমরা কভিড বেডগুলোর মধ্যে ৭০ বেড রেখে ৩০টি বেড নন-কভিড করে ফেলেছি। এখন বাড়ছে। বর্তমানে ৫৫ জন কভিড রোগী আছে। ভাবছি বাকি ৩০ বেড আবার কভিড ডেডিকেটেড করে দেব। আগের চেয়ে রোগী প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এভাবে বাড়তে থাকলে যে বেড সংকোচন করেছিলাম, সেগুলো চালু করব।

এ পরিচালক বলেন, এখানে কভিড রোগীদের জন্য আইসিইউ আগে ছিল না। আমরা আইসিইউ চালুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখনই রোগী কমে গেল। পরে আর আইসিইউ করা হয়নি। এখন আবার চালু করব। কভিড রোগীদের বেশি লাগে হাই-ফ্লো অক্সিজেন। সেটা যথেষ্ট পরিমাণ আছে। অক্সিজেনের কোনো সমস্যা নেই।

জটিল রোগী বেশি আসছে : প্রথম দফার তুলনায় এবার জটিল রোগী বেশি বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এ ব্যাপারে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, এখনকার রোগীগুলো হাসপাতালে আসার কয়েক দিনের মধ্যেই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। শ্বাসকষ্ট বেশি হচ্ছে। আগে এতটা খারাপ ছিল না। আগে তরুণ রোগী কম ছিল, এখন তরুণ রোগীও পাচ্ছি। ৩০-৪০ বছরের রোগীও বেশ পাওয়া যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এখন যে রোগী আসছে, তাদের জ্বর কম, কিন্তু হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। জটিল রোগী বেশি আসছে। বেশিরভাগেরই হাই-ফ্লো অক্সিজেন দরকার হচ্ছে। আগের চেয়ে বেশিসংখ্যক আইসিইউতে পাঠাতে হচ্ছে। ফলে রোগীর সংখ্যা যেমনই হোক, আইসিইউর ওপর আগের চেয়ে বেশি চাপ পড়ছে।

এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও বলেন, আগে যেমন বয়স্ক কভিড রোগীর জন্য আইসিইউ বেশি দরকার হতো, এবার মধ্যবয়সের চেয়ে কমবয়সী রোগীদের জন্য আইসিইউ দরকার হচ্ছে। আগে যেমন রোগীদের ১০৩-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর থাকত। এবার জ্বর সামান্য। কিন্তু হঠাৎ করেই ডায়রিয়া শুরু হচ্ছে, তারপর শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। আগের চেয়ে এবার এ ধরনের জটিল রোগী বেশি দেখছি।

আইসিইউ ও চিকিৎসা সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ : জটিল রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া ও আইসিইউ বিভাগের অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, ঢাকায় যত আইসিইউ আছে, সব ভরে গেছে। প্রতিদিনই অসংখ্য লোকজন কাছের মানুষ আইসিইউ বেডের জন্য ফোন করে। গত ১০-১২ দিনে তিনগুণের বেশি রোগী বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় আইসিইউতে কোনো জায়গা নেই।

এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, একটি ৫০০ বেডের হাসপাতালে ৫০ বেডের আইসিইউ থাকতেই হবে। অর্থাৎ মোট সাধারণ বেডের ১০ শতাংশ আইসিইউ রাখতে হয়। ১০০ বেডের হাসপাতাল হলে ১০ বেডের আইসিইউ থাকতে হবে। আইসিইউ শুধু কভিড রোগীর জন্য, নানাবিধ রোগীর জন্য। যেকোনো জটিল রোগীর জন্য আইসিইউ লাগে।

কিন্তু বাংলাদেশে এ চিত্র উল্টো। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল সবমিলে ১ লাখ ৪০ হাজার বেড আছে। আইসিইউ বেড আছে ১ হাজার ২০০। উচিত ছিল ১২ থেকে ১৪ হাজার আইসিইউ বেড করা। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালে প্রতি এক লাখ লোকের জন্য ২ দশমিক ৯ শতাংশ আইসিইউ আছে। সেখানে বাংলাদেশে এ সংখ্যা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থাৎ এক লাখ লোকের জন্য একটা বেডও নেই। তবে বর্তমানে হাই-ফ্লো অক্সিজেনের অভাব নেই।

এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও বলেন, সার্বিকভাবে সরকারিভাবে যে উদ্যোগ নেওয়ার দরকার ছিল, সেটা হয়নি। বাংলাদেশে আইসিইউ বেডের সংখ্যা অনেক বাড়ানো উচিত। এটার প্রয়োজন সবসময় দরকার। এ সক্ষমতা হঠাৎ করে বাড়ানো যায় না। ধীরে ধীরে বাড়াতে হয়। সরকার এক বছর সময় পেল। কিন্তু আইসিইউ ব্যবস্থাপনাটা বাড়াল না।

একই ব্যাপারে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, কভিড চিকিৎসায় যে সামর্থ্য আছে, সেটার পূর্ণ ব্যবহার উপযোগী করা দরকার। অনেক সরকারি হাসপাতালে আইসিইউর অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো ঠিক করতে হবে। সারা দেশে অনেক হাই-ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা আছে। এগুলোকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে হবে। গত এক বছরে চিকিৎসক ও নার্সসহ কভিড স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে গত এক বছরে ক্লান্তি চলে এসেছে। তাদের উদ্দীপ্ত করার জন্য কিছু একটা করা দরকার।

তিনি দেশে জটিল করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন। বললেন, তিনটি ব্যাপার হতে পারে যুক্তরাজ্য অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার করোনার ধরন বাংলাদেশে ছড়াতে পারে। অথবা বাংলাদেশের ভেতরই ভাইরাসটার কোনো মিউটেশন হতে পারে।

ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, রোগটি প্রতিরোধের ওপর জোর দেওয়া উচিত। এজন্য প্রথমেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

জনসমাগম বেশি হয় এমন যেকোনো অনুষ্ঠান রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, এ ধরনের সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের অনুষ্ঠান স্থগিত করা উচিত। সরকারের সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া উচিত, খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বের না হয়। এ কাজগুলো করার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি নিতে হবে।

অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে আইন প্রয়োগ করে এসব মানতে প্রয়োজনে বাধ্য করাতে হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!