বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করছেন ক্রিকেটার মারুফা

ঢাকা : কৃষক বাবা মোহাম্মদ আইমুল্লাহর সঙ্গে মাঠে কাজ করছেন মারুফা। করোনার কারণে খেলা নেই, তাই বাবাকেই আপাতত সাহায্য করছেন তিনি। সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান কোচ আরিফা জাহান বিথী বুধবার রাতে ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। 

উদীয়মান নারী পেসার মারুফা আক্তারের ছবিগুলো মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। ১৫ বছর বয়সী মারুফা খেলেছেন জাতীয় নারী ক্রিকেট লিগে, খেলেছেন মোহামেডানের হয়েও।

ছবিগুলোয় দেখা যাচ্ছে, কৃষক বাবা মোহাম্মদ আইমুল্লাহর সঙ্গে মাঠে কাজ করছেন মারুফা। করোনার কারণে খেলা নেই, তাই বাবাকেই আপাতত সাহায্য করছেন তিনি।

এ বিষয়ে মারুফা বলেন, করোনার জন্য তো প্র্যাকটিস হচ্ছে না। বাসায় আছি, তাই বাবার কাজে একটু সাহায্য করছি।

সাবেক ক্রিকেটার বিথী জানান, মারুফার পরিবার নিম্নবিত্ত। মারুফারা চার ভাই বোন। কৃষক বাবার আয়েই চলে পুরো সংসার। 

তিনি জানান ওর বাবা হচ্ছে কৃষক। বাবার ইনকাম দিয়ে পুরো পরিবারের ভরণ-পোষণ হয়। ওদের পরিবারকে নিম্নবিত্ত বলা যায়।

মারুফা জানান, ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন তিনি। এটিই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম অনুর্ধ্ব-১৯ নারী দল। কিন্তু সেই ক্যাম্পে যোগ দিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নেই তার।

তিনি আরও বলেন, না, সরঞ্জামাদি নেই। এখনও ব্যবস্থা হয়নি। এখনও কাউকে বলিনি, আমার পরিবার আর রংপুরের বিথি আপুকে বলেছি। আর খুলনার পিলু স্যার তো জানেই।’

পিলু স্যার বলতে ইমতিয়াজ হোসেন পিলু, যিনি কিনা খুলনা নারী দলের কোচ। জাতীয় ক্রিকেট লিগে মারুফা খেলেছেন সেই পিলু স্যারের অধীনেই। তবে সরঞ্জামাদি নিয়ে চিন্তা নেই মারুফার। জানান, কোচদের কাউকে বললেই ব্যবস্থা করে দেবেন।

মারুফা বলেন, ‘স্যারদের বললে স্যাররা অবশ্যই ব্যবস্থা করবেন। একজন ফোন দিয়েছিলেন, উনি বলেছেন যে আমার যা লাগবে তা তিনি দিয়ে দেবেন।’

মারুফা আরও জানান, করোনার সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিসিবি। করোনাভাইরাসের কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানটি। তবে ক্লাব মোহামেডান কোনো সহায়তা করেনি। 

সোনালীনিউজ/এমএএইচ