ঢাকা: গত বছর অক্টোবরে বিয়ে করেন নাঈম হাসান। মাঝের এই সাত মাসে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ।
নাঈম এখন পর্যন্ত যেহেতু শুধু টেস্ট সংস্করণে খেলার সুযোগ পেয়েছেন তাই বলা যায়, বিয়ের পর বেকার বসেই ছিলেন। বিয়ের পর জাতীয় দলের হয়ে প্রথম মাঠে নেমেছেন এই সিরিজেই।
আর বিয়ের পর প্রথম খেলতে নেমেই দারুণ সাফল্য। এর পেছনের রহস্য কী, অনেকে ভেবেছিলেন নিশ্চয়ই বউয়ের কোনো প্রেরণাতেই এই চমক। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেও তাই উঠল বিয়ে ও বউ প্রসঙ্গ। নাঈম জানালেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আসলে বিয়ের পর তো সিরিজ হয়েছে, ওগুলোয় ছিলাম না। এখন প্রথম ম্যাচ আল্লাহর রহমতে ভালো হয়েছে। তবে বউ কল দেয় নাই।’
মাঠে খেলা চলাকালীন খেলোয়াড়দের ফোন ব্যবহারের অনুমতি নেই। দিনের খেলা শেষে ফোন পেতে পারেন। আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে জীবনসঙ্গী তাকে ফোন দেয়নি, নাঈমের এই কথার মধ্যে কেউ কেউ অনুযোগের গন্ধও পেতে পারেন।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে ৬ উইকেট নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। এর আগে টেস্টে দুবার ইনিংসে ন্যূনতম ৫ উইকেট পেয়েছেন নাঈম।
উইকেট বুঝে বল করার পুরস্কারটা পেয়েছেন নাঈম। বোঝা গেল তার কথায়ই, ‘এই উইকেটে চিন্তা ছিল ভালো জায়গায় বোলিং করা। (বলে) বেশি ফ্লাইট (বাতাসে ঝুলিয়ে দেওয়া) দিলেও তো সমস্যা। আমি চেষ্টা করেছি ফ্লাইট দেওয়ার। গতকালকে একটু ফ্লাইট দিয়েছিলাম। আজকে লক্ষ্য ছিল ভালো জায়গায় জোরের ওপর বল করা।’’
দলে সুযোগ পাবেন কী না পাবেন, তা নিয়ে ভাবনা নেই নাঈমের। বুঝিয়ে দিলেন সেটি তার দায়িত্ব নয়, ‘আসলে ওটা তো টিম ম্যানেজম্যান্টের ব্যাপার। সুযোগ পেলে খেলাটা আমার দায়িত্ব। এখন যদি আমার খেলায় চেষ্টা থাকে শতভাগ তাহলে টিম ম্যানেজম্যান্ট খেলাবে নাকি খেলাবে না, এটা তো উনাদের সিদ্ধান্ত।’
সোনালীনিউজ/এআর







































