• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

হৃদয়ের সঙ্গে এই জুটি লিটনের ‘জীবনের সেরা’


ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
হৃদয়ের সঙ্গে এই জুটি লিটনের ‘জীবনের সেরা’

ঢাকা: তাওহিদ হৃদয়ের নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়ার গল্পটা নতুন নয়। গত বিপিএলেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সিতে হৃদয় দেখিয়েছেন তার টি-টোয়েন্টির সামর্থ্য (১২ ইনিংসে ৩৬ গড় ও ১৪০ স্ট্রাইক রেটে ৪০৩ রান)। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে ১৩ ইনিংসে হৃদয়ের রান ৪৪৭, গড় ৪০.৬৩, স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৪৯। 

বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সোমবার জিমি নিশামের ৪৯ বলে ৯৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ২০ ওভারে ১৮৫ রান তোলে রংপুর। 

সেই রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই সুনিল নারাইনকে হারায় কুমিল্লা, যাকে ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল মূলত দ্রুত রান তোলার জন্যই।

কিন্তু সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সময় নেয়নি তারা। পাল্টা আক্রমণের শুরুটা করেন তিনে নামা তাওহিদ হৃদয়। মন্থর শুরুর পর দারুণভাবে জ্বলে ওঠেন লিটনও। দুজনে গড়ে তোলেন ম্যাচ জেতানো বন্ধন। ৮৯ বলে ১৪৩ রানের জুটি গড়েন তারা।

লিটনের নিজেরও মনে পড়ছে না, এমন জুটির অংশ আগে কখনও ছিলেন কি না। শেষ পর্যন্ত দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরতে পারেননি কেউ। তবে কুমিল্লাকে জয়ের পথে নিয়ে যায় এই জুটিই। বিপিএলের রেকর্ড চারবারের চ্যাম্পিয়নরা পা রাখে পঞ্চম শিরোপার মঞ্চে।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে লিটন সবকিছুর আগে বললেন হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটির কথাই।

“অসাধারণ… আমার মনে করি, আমার জীবনের তো সেরা। এরকম কখনও হয়নি যে এত ভালো পার্টনারসহ এভাবে ব্যাটিং করেছি… আমার জীবনে আর মনে পড়ে না।”

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও অনেক ভালো জুটির অংশীদারই হয়েছেন লিটন। তবে একটি ম্যাচের কথা আলাদা করেই বলা যায়। ২০১৯ বিশ্বকাপে টন্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যে জুটিতে লিটন ছিলেন সাকিবের সঙ্গী। ৩২২ রান তাড়ায় ১৩৫ বলে ১৮৯ রানের অবিচ্ছন্ন জুটি গড়ে বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলেন দুজন।

সেই জুটিও আলাদা জায়গা নিয়ে আছে লিটনের হৃদয়ে। তবে এই জুটি কেন বিশেষ কিছু, সেটিও তুলে ধরলেন তিনি।

“ওটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ৫০ ওভারের খেলা, এটা টি-টোয়েন্টি। ওটা আমার জীবনের প্রথম ম্যাচ ছিল বিশ্বকাপে, ওটাও অন্যরকম ছিল সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে। তবে এটাও আলাদা। ফরম্যাট আলাদা তো, এজন্যই বললাম, টি-টোয়েন্টিতে পার্টনারসহ এরকম ইনিংস আমি খেলিনি।”

রান তাড়ার শুরুতে টাইমিং ঠিকঠাক করতে পারছিলেন না লিটন। সেই সময়টায় রান বাড়ানোর কাজটা করেন মূলত হৃদয়। ৩১ বলে যখন পঞ্চাশে পা রাখেন হৃদয়, লিটনের রান তখন ২৪ বলে ২৬।

তবে দশম ওভারে শেখ মেহেদি হাসানকে ছক্কা মারার পর লিটনও খুঁজে পান ছন্দ। পরে তিনি ছাড়িয়ে যান হৃদয়কেও। শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রানের জুটিতে লিটনের অবদান ৬৫, হৃদয়ের ৬৪।

৪৩ বলে ৬৪ করে আউট হয়ে যান হৃদয়। লিটন দলকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে ফেরেন ৫৭ বলে ৮৩ রান করে।

তবে শুরুর সময়টায় যেভাবে দলকে সামাল দিয়েছেন হৃদয়, সেটিই মুগ্ধ করেছে লিটনকে।

“যেভাবে সে ব্যাটিং করেছে, তা অসাধারণ। নন-স্ট্রাইক থেকে দেখতেও ভালো লাগছিল। এর চেয়েও বড় ব্যাপার, একজন পার্টনারের কাজ হচ্ছে আরেকজনের চাপ কমিয়ে দেওয়া। আমার মনে হয় সে আমাকে সেই স্বস্তি দিয়েছে, খেলাটাকে বড় করার জন্য।”

বিপিএলে দুজন ক্রিকেটার কিংবা বিদেশি কোনো তারকার সঙ্গে দেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এরকম জুটি আছে অনেক। লিটনকে বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে দেশের দুজন ব্যাটসম্যান এভাবে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়ায়।

“সাধারণত তো আমরা এত বড় বড় রান তাড়া করি না। সেদিক থেকে সেরাগুলোর একটি আপনি বলতে পারেন। যেহেতু দুটোই বাঙালি, দুজনই জাতীয় দলের ক্রিকেটার। আশা করি, এভাবেই আমরা চালিয়ে যেতে পারব।”

এআর

Wordbridge School
Link copied!