ঢাকা : জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই দল গড়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই কখনো জাতীয় দলে খেলেননি। দলে লিটন দাস থাকলেও আজ মাঠে নামেননি। তবু তরুণদের নিয়ে গড়া এই দলটি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে।
দলটির ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) তিন নম্বর মাঠে ১০৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১১০ বলে ১০৮ রান করে আউট হন ইফতি। তার অসাধারণ ইনিংসে ভর করেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৮ রান সংগ্রহ করে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
ইফতির সঙ্গে ভালো ব্যাটিং করেন জাওয়াদ আবরার ও মুন্না। জাওয়াদ করেন ৭৫ রান, আর মুন্না যোগ করেন ৪৭ রান। মোহামেডানের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন আবু হায়দার রনি, ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ইবাদত হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হয় আবাহনী লিমিটেড। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে একপাশ দিয়ে নিয়মিত উইকেট হারালেও দলকে টেনে নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
৫১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করা মোসাদ্দেক শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে ৭৩ রান করেন। তার ব্যাটে ভর করেই ২৩৪ রানের সংগ্রহ পায় আবাহনী।
এর আগে ব্যাট হাতে ভালো শুরু পায়নি দলটি। ইনিংসের প্রথম বলেই রবিউল হকের বলে শূন্য রানে আউট হন ওপেনার শাহরিয়ার কমল। এরপর ৫১ বলে ২০ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন নাঈম হাসান। তবে পারভেজ হোসেন ইমন লড়াই চালিয়ে যান। ৭৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেই শুভাগত হোমের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন শহিদুল ইসলাম। ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। রুয়েল মিয়া নেন ২ উইকেট।
দিনের আরেক ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্স ২১৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে। রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেছেন আব্দুল মজিদ, আর তানবীর হায়দারের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৭ রান।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেছেন নাহিদুল ইসলাম ও আরাফাত সানি। দুজনই ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। এখন দেখার পালা, ব্যাটিংয়ে কেমন জবাব দেয় প্রাইম ব্যাংক।
এমটিআই







































