ঢাকা: ১২.১২.১২ তারিখে বিশ্বজুড়ে অনেক বিয়ে হয়েছে। বাংলাদেশেও। তবে সাকিব আল হাসানের কাছে আট-দশটা দিনের চেয়ে এদিনটা আলাদা। এদিনই যে সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে প্রিয় উম্মে আহমেদ শিশিরকে জীবনের চিরসঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন তিনি। সেদিন বাংলাদেশের বহু তরুণির হৃদয় দুমড়ে-মুচড়ে শিশিরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
কিন্তু জানেন কি শিশিরের সঙ্গে কিভাবে পরিচয় হয়েছিল সাকিবের? আর সেই পরিচয় কিভাবে এতদূর অবধি গড়াল? এটা জানলে অবাক না হয়ে পারবেন না! অন্তমুখী স্বভাবের সাকিবের সঙ্গে শিশিরের পরিচয় হয়েছিল ফেসবুকে। শিশিরই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল সাকিবকে। তারপর থেকেই দুজনের ফেসবুকে চ্যাটিং। সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে ছিল শিশিরের বসতি। অথাৎ আমেরিকায়।
সেই সময় ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল উস্টারশায়ারের হয়ে খেলছিলেন সাকিব। ওই সময়ই আমেরিকা থেকে ইংল্যান্ডে আসেন শিশির। তারা দুজনই আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন না হুট করে দুজনের কৌতুহল মেটানোর জন্য দেখা এ নিয়ে কখনও সাকিবের কাছে সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।
লন্ডনের দেখায় যে দুজন দুজনের হৃদয়কে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন সেটা বলাই যায়। প্রেমও শুরু হয়ে যায় সেখান থেকেই। সাকিব ক্রিকেটের মানুষ হলেও তার জীবনসঙ্গী ক্রিকেট খুব একটা বুঝতই না! তাহলে কিভাবে সাকিবকে চিনল শিশির? এই প্রশ্ন একবার সাকিবের দিকে ছুঁরে দেয়া হয়েছিল? তখন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার নিজ দেশে ২০১১ বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন,‘ আসলে হয়েছি কী, ২০১১ বিশ্বকাপে আমি বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলাম। তখন এতো এক্সপোজার হয়েছে তাতে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের অধিনায়ককে কে না চিনবে! এভাবে সেও চিনেছে!’
সেই চেনা মানুষ দুজন এখন সুখের ভেলায় ভেসে বেড়াচ্ছেন। ঘর আলো করে এসেছে একমাত্র মিষ্টি মেয়ে আলাইনা হাসান অব্রি। যে বাবা সাকিবকে ছাড়া আর কিছু বোঝে না! বাবা যেমন সমালোচনার জবাব মুখে দেন না, মাঠে দেন, মেয়েও হয়েছে বাবার কার্বন কপি! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে বেন স্টোকসকে দেয়া সাকিবের স্যালুট ভাইরাল হয়ে যায় ফেসবুকে। বাবার স্যালুট দেখে ছোট্ট মেয়ে অব্রিও স্যালুট জানান। যেটা শিশির নিজের ফেসবুক পেজে পোষ্ট করে লেখেন,‘ যেমন বাবা তেমন মেয়ে।’
বাবার মত মেয়েও দিন দিন হয়ে উঠেছে প্রচন্ড সাহসী। এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মেয়েকে কোলে করে মাইক্রোফোনের সামনে কথা বলেন সাকিব। এতটুকু ভয়ডর দেখা যায়নি ছোট্ট অব্রির মাঝে।
শুধু তাই নয়, ভারত সফরের আগে খারাপ ফমের মধ্যে দিয়ে যাওয়া সাকিবকে সঙ্গ দিতে মেয়েকে বাংলাদেশে রেখেই নিউজিল্যান্ডে ছুটে যান শিশির। তাকে নিতে বিমানবন্দরে আসেন সাকিব। ফর্মেও ফেরেন তিনি। শিশিরের ছোঁয়ায় দিনকে দিন নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন সাকিব। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সাকিব-শিশিরের জন্য অফুরান শুভেচ্ছা।
সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই







































