• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লুইসের ব্যাটে চড়ে ফাইনালে গেল তামিমের ‍কুমিল্লা


ক্রীড়া প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯, ১০:২০ পিএম
লুইসের ব্যাটে চড়ে ফাইনালে গেল তামিমের ‍কুমিল্লা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে এখনো রংপুরের ফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়নি। মাশরাফি বিন মুর্তজার দলকে এজন্য খেলতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। সেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে আরেক শক্তিশালি দল ঢাকা ডায়নামাইটস।

রংপুরের ১৬৬ রান কুমিল্লা টপকে গেছে ৭ বল হাতে রেখে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। এই জয়ে বড় অবদান রেখেছেন ওপেনার এভিন লুইস। তিনি শুরু থেকে শেষ অবধি থেকে ৭১ রান করে কুমিল্লার জয় নিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল কুমিল্লার। সেই ধারাবাহিকতাই দলটি বজায় রেখে ফাইনালে চলে গেল। দারুন শুরু করা তামিম ইকবালের (১৭) উইকেট দ্রুতই তুলে নিয়ে ব্রেক থ্রো এনে দিয়েছিলেন মাশরাফি। কিন্তু তারপরও কাজ হয়নি। তামিম ফিরে যাওয়ার পর লুইস প্রথমে এনামুল হক এবং পরে শামসুর রহমানের সঙ্গে দুটি জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন। তাঁর ৭১ রান এসেছে ৫৩ বলে পাঁচ চার আর তিন ছক্কায়। শামসুর অপরাজিত ছিলেন ১৫ বলে ৩৪ রান করে। এনামুল করেছিলেন ৩৯। মাশরাফি ও শফিউল পেয়েছেন ১টি উইকেট।

এর আগে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি)  টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। গুরুত্বপুর্ণ ম্যাচে মোটেও ভাল সূচনা পায়নি রংপুর। দলীয় ১৭ রানেই ওপেনার মেহেদি মারুফকে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

চলতি আসরে দুর্দান্ত খেলা মোহাম্মদ মিঠুনও এদিন জ্বলে উঠতে পারেনি। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে ক্রিস গেইলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরেন রংপুরের এই ব্যাটসম্যান। তবে ক্রিকেটীয় নিয়মে এক বলে দুই ব্যাটসম্যানের আউটের বিধান থাকলে হয়তো গেইলও ড্রেসিংরুমে ফিরত।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে সঞ্জিত সাহার করা বল স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নেয়ার চেষ্টা করেন রংপুরের দুই ওপেনার গেইল ও মিঠুন। উইকেটের মাঝ পথে গিয়ে দু’জনই ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান নেবেনে কি নেবেন না এটা ভেবে থেমে যান। আবার দৌড় শুরু করেন। ভুল বোঝাবুঝির কারণে প্রথমে রান আউট হন মিঠুন। তাৎক্ষণিক আউট নিশ্চিত না হতে পেরে অপর প্রান্তে বল থ্রো করেন উইকেটকিপার এনামুল হক। অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা তামিম ইকবাল স্টাম্প ভেঙ্গে দেন। রিভিউতে দেখা যায় দুই প্রান্তেই মিঠুন এবং গেইল দু’জনই আউট হন। কিন্তু রীতি অনুযায়ী এক বলে একজনের আউটের রেওয়াজ থাকায় প্রথমে আউট হওয়া মিঠুনই ফিরে যান।

দুবার জীবন পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ক্রিস গেইল। ব্যক্তিগত ২৯ রানে সঞ্জিত সাহার বলে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট থেকে বাঁচেন গেইল। ১০ম ওভারে আবারও সঞ্জিত সাহার বলে ডিপ স্কয়ার লেগের ক্যাচ তুলে দেন গেইল। মেহেদী হাসানের কল্যাণে ৪৬ রানে দ্বিতীয় দফায় জীবন পান।  এরপর আর কোনো রান যোগ করার আগেই ক্যাচ ছেড়ে দেয়া মেহেদীর বলে আউট হন গেইল। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন রংপুরের এই তারকা ব্যাটসম্যান। শেষ দিকে রাইলি রুশো এবং বেনি হাওয়েলের ৭০ রানের জুটিতে ভর করে ১৬৫ রান তুলতে সক্ষম হয় রংপুর। রুশো ৪৩ ও হাওয়েল ২৮ বলে করেন ৫৩।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!