• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
জঙ্গিবাদে মোমেনা-সুমনা

অস্ট্রেলিয়া পুলিশের সঙ্গে তথ্য বিনিময় এন্টি টেররিজমের


আদালত প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮, ১২:৩০ পিএম
অস্ট্রেলিয়া পুলিশের সঙ্গে তথ্য বিনিময় এন্টি টেররিজমের

ঢাকা : বাংলাদেশি তরুণী মোমেনা সোমবার (২৪) জঙ্গিবাদে সম্পৃক্তার ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট। অস্ট্রেলিয়ায় একটি ঘটনা ঘটিয়ে আলোচনায় আসতে চেয়েছিলেন বলে ফেডারেল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন ওই তরুণী। এন্টি টেররিজম ইউনিট ফেডারেল পুলিশকে ইতোমধ্যে মোমেনার ছোট বোন সুমনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্য বিনিময় করেছে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের সঙ্গে।

এদিকে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়েছে সুমনার ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে পাঠানো হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আবারো রিমান্ড চাওয়া হবে নাকি আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে- এ বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

সিটিটিসির ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান জানান, সর্বশেষ জিজ্ঞাসাবাদে সুমনা জানিয়েছেন, তার বোন মোমেনা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থী থাকাকালে নব্য জেএমবির সদস্য নজিবুল্লাহ আনসারীর সঙ্গে প্রেমে পড়েন। এরপর ২০১৫ সালে অনলাইনে আইএস-আল কায়েদাসহ বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন উপকরণ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ পথে জড়িয়ে পড়েন। এরপর নজিবুল্লাহ ও মোমেনা তুরস্কে যাওয়ার আবেদন করেন। মোমেনার ভিসা না হওয়ায় নজিবুল্লাহ একাই তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় যান। সেখানে বোমা বিস্ফোরণে তিনি নিহত হন বলে শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে সিটিটিসি।

সূত্র জানায়, নজিবুল্লাহ রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন। পরে মালয়েশিয়ান মেরিন একাডেমিতে পড়তে যান। সেখান থেকে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যান যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বন্ধু গাজি সোয়ানসহ তুরস্কে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে জঙ্গিবাদ থেকে ফিরে আসেন সোয়ান।

গাজি সোয়ানের উদ্ধৃতি দিয়ে সুমনা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে জানান, তুরস্কে যাওয়ার পর নজিবুল্লাহ আনসারী হঠাৎ করে উধাও হয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, নজিবুল্লাহ তুরস্ক সীমান্তে মারা গেছেন।

এদিকে তুরস্কে যেতে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে যান মোমেনা। সেখান থেকেই তিনি ছোট বোন সুমনাকে অনলাইনে জঙ্গিবাদের দীক্ষা দিতেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোমেনা সোমাকে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ। অস্ট্রেলিয়া পুলিশের দাবি, মোমেনা আইএসের মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছেন।

মোমেনার বিষয়ে খোঁজ নিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার কাজীপাড়ায় তাদের বাসায় যায় ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দল। এক পর্যায়ে সুমনা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তার ওপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালান। এ সময় পুলিশের অন্য সদস্যরা তাকে ধরে ফেলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!