• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ই-কমার্সেও এগিয়ে ওয়ালটন


বিশেষ প্রতিনিধি অক্টোবর ১৮, ২০১৬, ০৩:৪৩ পিএম
ই-কমার্সেও এগিয়ে ওয়ালটন

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইনে কেনাবেচা বা ই-কমার্স। শুরুতেই ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রিতে শীর্ষে অবস্থান করছে ওয়ালটন। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ই-কমার্স সেবা আরও গতিশীল করতে শিগগিরই ই-প্লাজা চালুর কথা ভাবছে ওয়ালটন। 

২০১৫ সালের নভেম্বরে ই-কমার্স কার্যক্রম শুরু করে ওয়ালটন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে ই-কমার্স সাইটের উদ্বোধন করেন। প্রথম দুই মাস পরীক্ষামূলকভাবে চালু ছিল। বর্তমানে ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিমাসেই বিক্রির পরিমাণ বাড়ছে। 

এ প্রসঙ্গে ই-ক্যাব (ই কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি রাজীব আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা সম্প্রতি ব্যাপক প্রসার লাভ করছে। গবেষণা না থাকায় সঠিক সংখ্যা বলা না গেলেও, প্রায় এক হাজারের মত ই-কমার্সর ওয়েব সাইট রয়েছে বাংলাদেশে। অল্প দিনের মধ্যে খুব ভালো করেছে ওয়ালটন। এছাড়া একক ব্র্যান্ড হিসেবে আড়ং, ফুড পান্ডা, প্রাণ, নিটোল তারাও ভালো করছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ই কমার্সে ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। ধারণা করা হচ্ছে টাকার অংকে অন্যান্য সকল পণ্যের ক্ষেত্রেও একক ব্র্যান্ড হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। তবে এবিষয়ে স্পষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকায় বিষয়টি ধারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।   

ওয়ালটন আইটি বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর লিয়াকত আলী বলেন, গ্রাহকদের হাতের নাগালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উচ্চ মানসম্পন্ন পণ্য সহজে পৌঁছে দিতে ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গ্রাহকরা দেশের যে কোনো জায়গা থেকে ই-কমার্সের মাধ্যমে ওয়ালটন পণ্য কিনতে পারছেন। 

প্রবাসী বাংলাদেশীরাও পণ্যের অর্ডার দিয়ে দেশের যে কোনো স্থান থেকে ডেলিভারি নিচ্ছেন। এরইমধ্যে অনেক প্রবাসী ওয়ালটনের ই-কমার্স সাইট থেকে পণ্য কিনেছেন। 

ওয়ালটন সূত্র মতে, তাদের ই-কমার্স পদ্ধতি খুবই সহজ। জেলা, উপজেলা এমনকি গ্রাম পর্যায়ে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইনে অর্ডার দিলে ডিসকাউন্ট এবং ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ক্রেতারা মোবাইল ব্যাংকিং অথবা যে কোন ব্যাংকিং কার্ড এর মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন। 

ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, ই-কমার্স সেবাকে আরো গতিশীল করতে এবং ক্রেতাদের হাতের নাগালে সহজে সেবা পৌঁছে দিতে ই-প্ল¬াজা নামে নতুন একটি পদ্ধটি চালু করতে যাচ্ছে ওয়ালটন। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওয়ালটনের পণ্য পৌঁছানো আরো সহজতর হবে। 

দেশের পাশাপাশি খুব শিগগিরই বিদেশের বাজারকেও ওয়ালটনের ই-কমার্স প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। বর্তমানে ভারত, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাসহ  ২০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটনের পণ্য। এইসব দেশগুলোতে অবস্থিত ওয়ালটন সেলস পয়েন্টের আওতায়  গ্রাহকরা ঘরে বসেই অন-লাইনের মাধ্যমে সংশিষ্ট দেশের প্রচলিত মুদ্রায় পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

ওয়ালটনের আইটি বিভাগের সফটওয়্যার প্রকৌশলী শিহান মাহমুদ বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে ই-কমার্স লেনদেনকে জনপ্রিয় করতে প্রায় ৪ শতাধিক মডেলের পণ্যে নগদ মূল্যের উপর দেয়া হচ্ছে ডিসকাউন্ট এবং শর্তসাপেক্ষে ফ্রি হোম ডেলিভারি। এছাড়া ক্রেতাদের হাতের নাগালে পণ্য পৌঁছাতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়ালটন। 

ক্রেতারা ওয়ালটন প্লাজা ও অন্যান্য আউললেট থেকে পণ্য কিনলে সার্ভিস ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবাসহ যেসকল সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেগুলো অন-লাইনে পণ্য কিনলেও পাবেন। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!