• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এএসআই বললেন- চাকরি থেকে ইয়াবা ব্যবসা ভালো!


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আগস্ট ২০, ২০১৮, ০৬:৩০ পিএম
এএসআই বললেন- চাকরি থেকে ইয়াবা ব্যবসা ভালো!

নারায়ণগঞ্জ: দীর্ঘদিন ধরে চাকরিতে যোগদান না করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই সালাউদ্দিন। জেলা পুলিশ সুপার বিষয়টি জানার পর তাকে চাকরিতে যোগদান করার কথা বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এএসআই সালাউদ্দিন জবাব দেন চাকরি থেকে ইয়াবা ব্যবসা অনেক ভালো।

রোববার (১৯ আগস্ট) রাতে পলাতক এই ইয়াবা ব্যবসায়ী এএসআইকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এসময় তার কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, নগদ টাকা ও একটি অত্যাধুনিক প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (২০ আগস্ট) দুপুরে র‌্যাব-১১ নগরীর আদমজীনগর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আশিক বিল্লাহ।

তিনি জানান, রোববার (১৯ আগস্ট) রাত ৩টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি সাদা প্রাইভেটকারসহ গোয়েন্দা পুলিশের পলাতক এএসআই সালাউদ্দিন ও তার চালক রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসময় গাড়ি তল্লাশি করে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, মাদক বিক্রয়ের দুই লাখ ৮৩ হাজার ৩৫০ টাকা, একটি অত্যাধুনিক প্রাইভেটকার, একটি  গোয়েন্দা জ্যাকেট, একটি পুলিশ আইডি কার্ড এবং চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার এএসআই সালাউদ্দিন জানান, তিনি ২০০৩ সালে পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে ১৫ বছর চাকরি করেন। সর্বশেষ পুলিশের কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে পদন্নতি হয়ে নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশে দেড় বছর আগে কাজ শুরু করেন।

নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশে থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে টেকনাফের কিছু মাদক ব্যবসায়ীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে টেকনাফ থেকে তিনি নিজেই ইয়াবা ট্যাবলেট আমদানি করে নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ ও বিক্রয় করতেন। এই কাজে তিনি বিভিন্ন জায়গায় গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দিয়ে সুকৌশলে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যান দীর্ঘদিন যাবত। মাত্র দুই বছরে ইয়াবা ব্যবসা করে সালাউদ্দিন নারায়ণগঞ্জের কেল্লাপুর, আদমজীর কদমতলী ও পোস্তগোলা এলাকায় নিজ বাড়িসহ তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক হন।

এএসআই সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার কথা প্রকাশ পেলে তিনি এক বছর ধরে পুলিশের চাকরি থেকে পালিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যান।

তার বিরুদ্ধে কয়েকবার অভিযোগ আসার পর জেলার পুলিশ সুপার তাকে চাকরিতে যোগদান করার জন্য বলেন। এসময় তিনি জানান চাকরি থেকে ইয়াবা ব্যবসা অনেক ভালো। সালাউদ্দিন ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার কালুয়াহাটী গ্রামের মো. জুমুন মিয়ার ছেলে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!