• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার ওয়ানডে সিরিজ রাঙাতে চায় টাইগাররা


ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ২৪, ২০১৭, ০৫:০৯ পিএম
এবার ওয়ানডে সিরিজ রাঙাতে চায় টাইগাররা

ঢাকা: ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ দেশ হিসেবে জয় দিয়ে নিজেদের শততম টেস্ট স্বরণীয় করে রেখেছে বাংলাদেশ। এবার টাইগারদের সামনে আরো একটি মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগ এসেছে। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ স্থানে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ মাশরাফি-মুশফিকদের সামনে! তবে এক্ষেত্রে তাদেরকে কঠিন একটি পথ পারি দিতে হবে। লঙ্কার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিততে হবে।

সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে শনিবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় রাঙ্গিরি ডাম্বুলা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে স্বাগতিক  শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে টাইগাররা। প্রেরণা হিসেবে সেই শততম টেস্টকে সামনে রাখছে মাশরাফি-মুশফিকরা।

টেস্ট সিরিজ দিয়ে এবারের শ্রীলঙ্কা সফর শুরু করে বাংলাদেশ। গল-এ সিরিজের প্রথম টেস্ট ২৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হারে টাইগাররা। তবে কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে চমক দেখায় বাংলাদেশ। নিজেদের শততম টেস্টে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দাপটের সাথে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় মুশফিক বাহিনী। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়।

নিজেদের শততম টেস্ট জয়ের রোমাঞ্চটা অনেক বেশি স্পর্শ করেছে বাংলাদেশকে। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে শততম টেস্টে জয় পায় টাইগাররা। এমন অর্জনকে সাথে নিয়েই এবার নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে সিরিজ শুরু করছে বাংলাদেশ।

ওয়ানডে সিরিজের আগে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে নিজেদের ভালোভাবেই ঝালিয়ে নিয়েছে মাশরাফির দল। জয়ের জন্য প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের ছুঁড়ে দেয়া ৩৫৫ রানের টার্গেট প্রায় ধরে ফেলেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ওভারে এসে ভাগ্যকে সাথে না পাওয়ায় মাত্র ২ রানে ম্যাচ হারে টাইগাররা।

তারপরও লড়াই করার মানসিকতা সাহস যোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। যেমনটা সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের শেষ ওয়ানডেতে দেখিয়েছিলো টাইগাররা। ২০১৩ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতে নেয় তারা। ফলে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়।

তাই শ্রীলঙ্কার মাটিতে অপরাজেয় থেকেই ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সীমিত ওভারের ম্যাচে খুব বেশি সাফল্য পায়নি টাইগাররা। ৩৮ ম্যাচে মাত্র ৪টি জয় আছে তাদের। এরমধ্যে তিনটি বাংলাদেশের মাটিতেই।

তবে এসব পরিসংখ্যান খুব বেশি কাজে দেবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, ‘ব্যক্তিগতভাবে, অতীত আমাকে কখনও সাহায্য করেনি। হতে পারে অন্য খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা দিয়েছে। কিন্তু আমি অতীত থেকে প্রেরণা নিতে পারিনি। অতীতে অনেক ম্যাচ খেলেছি এবং অধিকাংশই হেরেছি। কিন্তু তার মানে এই নয়, আমি ভবিষ্যতে কোন ম্যাচ জিততে পারবো না। আমাদের ২০১৩ সালের জয়ের কথা মনে রাখতে হবে এমনটা আমি মনে করি না। আমি মনে করি ফুরফুরে মেজাজে থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

অতীত মনে করতে চান না মাশরাফি। তা না করাই ভালো। কারণ ২০১৪ সাল থেকে টানা ছয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জিতে আকাশেই উড়ছিলো বাংলাদেশ। তবে ২০১৬ সালের অক্টোবরে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের কাছে এবং গেল বছরের শেষে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হারে বাংলাদেশ। তাই পরপর দুই সিরিজ হারের ক্ষত ভুলে আবারো জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্যও আছে বাংলাদেশের।

জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্য শ্রীলঙ্কারও। কারণ দ্বিপক্ষীয় সর্বশেষ তিনটি সিরিজেই হেরেছে লংকানরা। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সফরকারী হিসেবে এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে দেশের মাটিতে সিরিজ হারে লঙ্কানরা।

এদিকে বর্তমানে শ্রীলঙ্কার থেকে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ৯৮ পয়েন্ট নিয়ে লঙ্কানদের অবস্থান ষষ্ঠতে। আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজটিতে লঙ্কানদের ৩-০ তে হারাতে পারলে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট নেমে দাঁড়াবে ৯৬ তে এবং বাংলাদেশেরও সমান পয়েন্ট হবে।

ফলে তখন হিসেবটা হবে ভগ্নাংশের ব্যবধানে। সেক্ষেত্রে দশমিক পয়েন্টে যদি বাংলাদেশ এগিয়ে থাকে তাহলে র‌্যাঙ্কিংয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে উঠে আসবে তারা। তবে এর উল্টোটাও ঘটার সম্ভাবনা আছে।  শ্রীলঙ্কা এই সিরিজটা ৩-০ তে জিতলে সর্বমোট ১০০ পয়েন্ট পাবে তারা।

আর বাংলাদেশ ধবল ধোলাই হলে কপাল খুলবে পাকিস্তানের। কারণ তখন ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে আটে নেমে যাবে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে আবারো উঠে আসবে সাতে।

বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শুভাশিষ রয়, সানজামুল ইসলাম, শুভাগত হোম চৌধুরী ও নুরুল হাসান সোহান।

শ্রীলঙ্কা দল: উপুল থারাঙ্গা (অধিনায়ক), নিরোশান ডিকবেলা, ধনানঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশাল মেন্ডিস, আসিলা গুনারত্নে, দিনেশ চান্ডিমাল (উইকেরক্ষক), দানুস্কা গুনাথিলাকা, সুরাঙ্গা লাকমল, লাহিরু কুমারা, ভিকুম সঞ্জয়, থিসারা পেরেরা, শচিত পাথিরানা, সেক্কুজে প্রসন্ন ও লক্ষন সান্দাকান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই  

 

Wordbridge School
Link copied!