• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘ট্যানারির পরিবেশগত ক্ষতি ২৬৫০ কোটি টাকা’


বিশেষ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬, ০৩:৫৪ পিএম
‘ট্যানারির পরিবেশগত ক্ষতি ২৬৫০ কোটি টাকা’

হাজারীবাগের ট্যানারি থেকে প্রতিদিন ২২ হাজার ঘনমিটার অপরিশোধিত বর্জ্য এখনও বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এসব বর্জ্যে ক্রোমিয়াম, লেড, সালফিউরিক এসিড, চামড়া প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত ভারী ধাতু এবং লবণসহ বিভিন্ন বিষাক্ত ও বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্যের মিশ্রণ রয়েছে। আর্থিক মূল্যে হিসেব করলে এসব বর্জ্যের পরিবেশগত ক্ষতি বর্তমানে ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কলাবাগানে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) উদ্যোগে সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ট্যানারি স্থানান্তরের সর্বশেষ অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ চিত্র তুলে ধরেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান। 
সংবাদ সম্মেলনে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পবা সম্পাদক জানান, দীর্ঘ ৬৬ বছর ধরে বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণ করে চলেছে হাজারীবাগের এই ট্যানারি। এর ফলে বুড়িগঙ্গার পানি শিল্প, কৃষি ও গৃহস্থলী কাজে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমনকি ওই পানি পরিশোধন করেও ব্যবহারের উপযোগী করা সম্ভব নয়। হাজারীবাগের ট্যানারি থেকে প্রতিদিন আনুমানিক ১০০ মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। সর্বোচ্চ উৎপাদনকালে এর পরিমাণ প্রায় ২০০ মেট্রিক টন।

চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে পবা সম্পাদক বলেন, সাভারের চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পে সিইটিপির (কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার) দুটি মডিউলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বর্জ্যের অভাবে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। বাকি দুটি মডিউলের নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে চলছে। এছাড়া শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শিল্প ভবন নির্মাণ কাজও ধীর গতিতে চলছে।

আবদুস সোবহান বলেন, সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে মাত্র ৬টি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করেছে। এছাড়া  ৩৯টি ট্যানারিতে ট্যানিং ড্রাম স্থাপনের কাজ চলছে। সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর কারখানাগুলোতে এখনও বিদ্যুৎ সাবস্টেশনও নির্মাণ করা হয়নি। মূলত ট্যানারি মালিকদের ব্যক্তিগত মুনাফাকে প্রাধান্য দেয়ার কারণেই ট্যানারি স্থানান্তর প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

এ সময় বেশকিছু দাবি জানিয়ে পবার সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনায় এখন হাজারীবাগ থেকে স্থানান্তর না হওয়া ট্যানারিগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত। ট্যানারিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া, মালিকদের কাছ থেকে পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা আদায় করা এবং সিইটিপি বাস্তবায়নসহ প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম নির্দিষ্ঠ সময়ে সমাপ্ত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!