• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তা নিয়ে আশার আলো


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৮, ২০১৭, ১০:৩৬ এএম
তিস্তা নিয়ে আশার আলো

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যতগুলো আলোচিত অমীমাংসিত ইস্যু রয়েছে তার মধ্যে তিস্তা চুক্তি অন্যতম। ছিটমহলসহ ভারতের সাথে অমীমাংসিত বিভিন্ন ইস্যুর সমাধান মিললেও; তেমন গতি নেই তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কারণে গেলো ৫ বছর ধরে তা যেন আটকে আছে এক জায়গাতেই।

তবে এ নিয়ে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে বাংলাদেশের জনগণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরেই হতে পারে তিস্তা চুক্তি। এমন আশা করছেন খোদ ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরও। জানান, চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজি করাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তারা।

আগামী মাসে ভারত সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাকে ঘিরে ফের আলোচনায় তিস্তা চুক্তি। মোদি সরকারের আড়াই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দিল্লিতে গেলো সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আশা, এবার কাটবে এই অচলায়তন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফরে তিস্তা চুক্তি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজি করাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। আশা করি এ বিষয়ে সফলতা আসবে।

মমতার বিদায়ী সরকারের যিনি সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আগে যা হয়েছে, হয়েছে। এখন নতুন সরকার বিষয়টাকে আবার নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতেই পারে। যদিও পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রীর এখতিয়ারে!’

সেচমন্ত্রী হিসেবে রাজীবই গত পাঁচ বছর পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিস্তা চুক্তির জটিলতা এবং এর নানা খুঁটিনাটি তার হাতের তালুর মতোই চেনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন এই নেতা পশ্চিমবঙ্গের সদ্যসমাপ্ত ভোটে গোটা রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে বেশি ব্যবধানে জিতে রেকর্ড গড়েছেন। নতুন মন্ত্রিসভাতেও তিনি সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সেই রাজীব যখন তিস্তা নিয়ে নতুন সম্ভাবনার কথা বলছেন, তখন সেটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না কিছুতেই।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমরা তিস্তা চুক্তির শুধু বিরোধিতা করে গেছি, ব্যাপারটা সে রকম নয়। আমাদের সরকারের বক্তব্য ছিল খুব সহজ, পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থবিরোধী কিছু করা যাবে না। তিস্তা নিয়ে রাজ্যের স্বার্থকে নিশ্চয় আমরা জলাঞ্জলি দেব না, তবে এখন নতুন সরকার আসছে, নতুন সরকার হয়তো বিষয়টাকে আবার নতুন আঙ্গিকে দেখতেই পারে। একটু অপেক্ষা করুন, তাহলেই সব প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন।’

এছাড়া, যে সব ইস্যুর এখনও মীমাংসা হয়নি। সেগুলোও এই সফরে গতি পাবে বলে মনে করেন, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, "শুধু তিস্তা নয়, এই সফরেই দু'দেশের সাথে অন্যান্য অভিন্ন নদীর সমস্যার সমাধানও মিলতে পারে। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে দুদেশের মানুষের মাঝে সর্ম্পকও এখন অনেক গভীর। আমার শেষ সফরেও শেখ হাসিনার সাথে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।"

সংবাদ সম্মেলনে এম জে আকবর আশা করেন, দু'দেশের মাঝে থাকা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই সব বাধা দূর করবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!