রাজধানীর পল্লবীতে আনিস হোসেন নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে দুই কসাইয়ের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- শমসের রায় ও লালু। তারা দুইজন পেশায় কসাই। রায়ের সময় আসামি শমসের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি লালু শুরু থেকেই পলাতক।
বুধবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরকার এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পল্লবীতে আনিসকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। স্থানীয় একটি দর্জির দোকানে কাজ করতেন আনিস। তার বাড়ি চাঁদপুর। হত্যাকাণ্ডের পরদিন তার ভাই মো. ফারুক পল্লবী থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামিরা ‘জরুরি কথা আছে’ বলে সেই দিন সন্ধ্যায় আনিসকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে পল্লবীর ওয়াপদা বিল্ডিংয়ের মিল্কভিটা মাঠের পশ্চিম দিকে খালি জমিতে আনিসের গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “কসাইরা যেভাবে পশু জবাই করে, এই আসামিরা একটি মোবাইল সেটের জন্য আনিসকে সেরকম নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এ ধরনের নির্মম, নৃশংস ও অগ্রহণযোগ্য ভয়ঙ্কর হত্যার মতো অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্ত করা সম্ভব নয়।”
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান লিখন জানান, রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য শুনে এ রায় দিয়েছেন আদালত। আসামিপক্ষে কোনো সাক্ষী ছিল না।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ
আপনার মতামত লিখুন :