• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানকে কড়া জবাব বাংলাদেশের


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৬, ০৮:০৪ পিএম
পাকিস্তানকে কড়া জবাব বাংলাদেশের

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের কোনো মতামত দেয়ার সুযোগ নেই বলে পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে কড়া জবাব দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কারণ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর)  দুপুর পৌনে ৩টায় তলব পেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সামিনা মেহতাব। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুল হাসানের দফতরে তাকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করায় পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সামিনা মেহতাবকে কড়া জবাব দেয়া হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনু বিভাগের মহাপরিচালক মনোয়ার হোসেন।

পরে কামরুল হাসান বলেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড নিয়ে পাকিস্তান যে মতামত দিয়েছে, সেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল। এ বিচার স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়েছে। তার আপিল করার সুযোগ ছিল। আপিলের সুযোগ তিনি নিয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালত মনে করেছেন, তিনি ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী যে অপরাধ করেছেন, এটাই তার উপযুক্ত শাস্তি। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাজেই এ নিয়ে পাকিস্তানের মতামত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, জামাযাত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছে, এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি কূটনৈতিক পত্র পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপরই বিবৃতি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের আগে সংঘটিত ‘কথিত’ অপরাধের অভিযোগে ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’ প্রক্রিয়ায় মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় পাকিস্তান গভীরভাবে মর্মাহত। বিবৃতিতে মীর কাসেমের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানানো হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেম আলীসহ এ পর্যন্ত ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। প্রত্যেক অপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তানের কাছ থেকে অযাচিত বিরূপ প্রতিক্রিয়া এসেছে। এ নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের তিক্ততা বাড়ছে। দুই দেশের কূটনীতিকদের পাল্টাপাল্টি তলব ও প্রত্যাহারের ঘটনাও ঘটেছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
 

Wordbridge School
Link copied!