• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
মোটরসাইকেল থামানোর জের

পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ: গাড়ি ভাঙচুর


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১১, ২০১৬, ০৫:০৩ পিএম
পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ: গাড়ি ভাঙচুর

হবিগঞ্জে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের মোটরসাইকেল থামানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন আহত হন। এ সময় পুলিশের গাড়ি ও থানায় ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে আহত এসআই অরূপ কুমার চৌধুরী ও এসআই জাকির হোসেনকে সদর আধুনিক হাসপাতালে এবং অন্য আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, অবৈধ ও কাগজপত্রবিহীন যানবাহন আটকের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় রোববার (১১ ডিসেম্বর) শহরের ২নং পুল এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়। দুপুরে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মুকিদুল ইসলাম মুকিতের নেতৃত্বে কয়েকটি মোটরসাইকেল ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলগুলো পুলিশ থামায়। এ নিয়ে তাদের সাথে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। এ খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে থানায় এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের দু’টি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মুকিদুল ইসলাম মুকিত বলেন, রোববার দুপুরে আমি, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি কিবরিয়া ও পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের সদর উপজেলার গোপায়ায় একটি অনুষ্ঠান শেষ করে মোটরসাইকেলযোগে অন্য একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হই। আমরা ২নং পুল এলাকায় পৌঁছলে চেকপোস্টে পুলিশ আমাদের থামিয়ে প্রথমে কাগজ দেখতে চায়। কাগজ ঠিক থাকায় তারা আমাদের ৩ জনকে একটি সাইকেলে যেতে বারণ করে। আমরা তাদের বিনয়ের সাথে বলেছি একটি অনুষ্ঠানে যাব। এ সময় উপস্থিত কয়েকজন এসেও অনুরোধ করেন ছেড়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু তারা আমাদের ৩ জনকে একসাথে যেতে দেবে না। একজনকে নেমে যেতে বলে। খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা থানার সামনে এসে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় লুঙ্গি পড়া দাঁড়িওয়ালা এক ব্যক্তি থানার সামনে থেকে শর্টগান দিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরাও থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আমরা এসে তাদের থামিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপভ্যান এসে ছাত্রলীগ কর্মী জিহাদকে চাপা দেয়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট পাঠানো হয়েছে। তখন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ওই গাড়িটির গ্লাস ভাঙচুর করেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কয়েকটি মোটরসাইকেলে ৩ জন করে চেকপোস্ট অতিক্রম করছিল। এ সময় পুলিশ তাদের থামিয়ে একেকটি মোটরসাইকেলে ৩ জন করে বহন না করতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা এসে থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ পাল্টা ৯ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!