• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বসন্তে প্রকৃতির সঙ্গে সাজবে প্রাণ


রাজশাহী প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭, ০৫:০৬ পিএম
বসন্তে প্রকৃতির সঙ্গে সাজবে প্রাণ

রাজশাহী: মেঘলা আকাশ। সঙ্গে শীতের পালক পরশ। শখায় ফুটতে শুরু করেছে রক্তিম শিমুল, পলাশ। সময়ের ঘড়ি ধরে, ঋতুর সিঁড়ি বেয়ে শীতের শেষে আসছে ফাল্গুন। বসন্তের আগমনীতে প্রকৃতি গুণগুণ করে গাইছে যৌবনের গান।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পহেলা ফাল্গুন। ফুলের সাজে সাজবে প্রাণ। ভালোবাসায় সিক্ত হবার সময়। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রঙতুলির আঁচরে শেষ হয় না। শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে চলে কবি-সাহিত্যিকদের বসন্তের রূপের বর্ণনা। তবু শেষ হতে চায় না। প্রকৃতির রঙিন রঙ যেন লাগে মনে।

ফাগুনের আগুনে, মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে। সাজবে নানান রঙে। ভালোবাসার আবেগে মানুষ ও প্রকৃতি একাকার।

রাজশাহীতেও বসন্ত বরণে যেন উৎসবের শেষ থাকে না। এবারে অনেক আগে থেকেই চলছে প্রস্তুতি। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের হিমবাহ। শহুরে মানুষের কাছেও বসন্তের আবেদন ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে শহরের তরুণ-তরুণীরা বসন্ত বরণে দিরভর ব্যস্ত থাকে। ফুলে ফুলে ভরে যাবে তরুণীর চুলের খোপা।

এদিন, দর্শনীয় স্থানগুলোতে মানুষের পদচারণায় যেন তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। বসন্তের আগমনে নব উদ্যমে জেগে উঠে বাঙালির প্রাণ।

পহেলা ফাল্গুনকে সামনে রেখে বেচাকেনা জমে উঠেছে ফুলের দোকানিদের। রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার বিসমিল্লাহ ফুল ভাণ্ডারের মালিক সুইট জানান, বিশেষ দিনগুলোতে ফুলের চাহিদা একটু বেশিই থাকে। পহেলা ফাল্গুনের একদিন পরেই ভালোবাসা দিবস। তাই শহরে ফুলের চাহিদা বেশি।

ফুল দোকানিরা জানান, স্বাভাবিক দিনে গোলাপ ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হলেও বিশেষ দিনগুলোতে গোলাপ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। স্বাভাবিক দিনে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল  ৫০০ টাকায় বিক্রি হলেও বিশেষ দিনগুলোতে ৭০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়, গ্লাডিওয়ালস ফুলগুলোর মধ্যে ডিপ রঙেরগুলো মানুষের বেশি পছন্দের। এসব ফুল স্বাভবিক দিনে ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও বিশেষ দিনে , রজনীগন্ধা ১০ টাকা সাধারণত বিক্রি হলেও বিশেষ দিনে ২০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়, জার্বেরা ফুল ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।

নগরীর সাহেববাজার এলাকার ফুল গিফট কর্নার দোকানের মালিক ও ফুল ব্যবসায়ী সন্তোষ কুমার গুপ্তা জানান, বিশেষ দিনগুলোতে ফুলের ব্যবসা ভালো হয়। তাদের বেশিরভাগ ফুল আসে যশোর থেকে। রাজশাহী অঞ্চলে এখনো ফুলের চাষ সেখাবে গড়ে উঠেনি। তবে এবছর কিছু বাগান থেকে জার্বেরাসহ কিছু ফুল আসছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!