• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসছেন আইনমন্ত্রী


আদালত প্রতিবেদক নভেম্বর ১৬, ২০১৭, ১২:১০ পিএম
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসছেন আইনমন্ত্রী

ঢাকা: নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে ভারপ্রাপ্ত প্রধানবিচারপতির সাথে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সন্ধ্যায় বসবেন। তবে কোথায় বসবেন তা জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞাসহ আপিল বিভাগের সকল বিচারপতি আইনমন্ত্রীর সাথে বসবেন। বিষয়টি জানিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম।তিনি জানান সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের সকল বিচারপতিদের সঙ্গে বসবেন মন্ত্রী।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর আপিল বিভাগে সর্বশেষ শুনানির দিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে জানিয়েছিলেন ৯ নভেম্বর বৈঠকটি হতে পারে। কিন্তু সেটি পরিবর্তন হয়ে যায়।

গত ৫ নভেম্বরের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গেজেট প্রকাশ করতে চার সপ্তাহের সময় আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেন আপিল বিভাগ। এর আগে গত ৮ অক্টোবর আদালত গেজেট প্রকাশে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন। তার আগে একই বিষয়ে আরো বেশ কয়েকবার সরকারকে সময় দেন আদালত। অবশেষে আজ সন্ধ্যায় বসার বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেলো।

আদালত সূত্র জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় শৃঙ্খলাসংক্রান্ত একটি খসড়া বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।

কিন্তু গত বছরের ২৮ আগস্ট আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালাসংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী বিধিমালার অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।

এরপর সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একই সঙ্গে গত বছরের ৬ নভেম্বর মধ্যে খসড়া বিধিমালা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানাতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে খসড়া বিধিমালা প্রকাশের জন্য বারবার সময় নেয়া হয়।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধান পদত্যাগ করা প্রধানবিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা গত বছরের ৩১ অক্টোবর এক বাণীতে বিচার বিভাগে দ্বৈত শাসন চলছে বলে উল্লেখ করেন। বাণীতে তিনি বলেন, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদে অধঃস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর হাইকোর্টের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলা হয়েছে। কিন্তু ১১৬ অনুচ্ছেদে যে বিধান দেয়া হয়েছে তা বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ।

এই অনুচ্ছেদ অনুসারে অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি এবং শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে এককভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্বৈত শাসনের ফলে বহু জেলায় শূন্য পদে সময়মত বিচারক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিচার কাজে বিঘ্ন ঘটে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি বেড়ে যায়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!