• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাল্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে কুষ্টিার আবুল


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬, ০৬:৩৭ পিএম
মাল্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে কুষ্টিার আবুল

শখের বশবর্তী হয়ে মালটা চাষ করে আজ ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখাছেন কুষ্টিয়ায় আবুল হাশেম। কয়েক বছর আগে বাড়ীর আঙ্গিনায় একটি মাত্র গাছের চারা রোপন করেন তিনি। তারপর দুই বছর আগে শখের বসে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মালটা চাষ শুরু করেন। এতে বেশ ভালো ফলও দেখতে পান। তার দেখাদেখি এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ মালটা চাষ। দিন দিন বেকার যুবকরাও মালটা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। 

আবুল হাশেম কুষ্টিয়ার মিরপুর ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের বাদশা ম-লের ছেলে। এবার প্রথম গাছে ফল এসেছে তার। তাই এবার ভালো লাভের আশা করছেন তিনি। 

আবুল হাসেম আলী জানান, প্রথম শখের বসে বাড়ীর আঙ্গিনায় একটা গাছের চারা লাগাই। দুই বছর পরে মালটা ধরে। সেগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু এবং দেখতেও বেশ ভালো। তাই আমি ২০১৪ সালে মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মালটা চাষ শুরু করেছি। একটি গাছে গড়ে প্রায় ৫৫-৬০টি করে মালটা ধরেছে। 

তিনি জানান, অনান্য ফল চাষের চেয়ে মালটা চাষ লাভজনক এবং খরচও কম। চারা রোপণের দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। এছাড়া কোনো প্রকার কীটনাশক, ফরমালিন বা পেস্টিসাইটের প্রয়োজন হয় না। এজন্য এটা বিষমুক্ত। 

তিনি আরো জানান, মালটা চাষ শুরু থেকে এই পর্যন্ত মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস আমাকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের সহযোগিতায় আমি এ মালটার চারা পেয়েছি। যেহেতু এর আগে আমি এই মালটার বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করিনি। তাই তারা আমাকে চাষ পদ্ধতি ও চাষে প্রয়োজনীয় করণীয় কাজগুলো শিখিয়ে দিয়েছেন। তার এ মালটা চাষ দেখে এলাকার আরো বেশ কিছু বেকার যুবক ও কৃষকরা এ মালটা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। 

এ ব্যপারে মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দ্বিতীয় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের আওতায় মিরপুর উপজেলাতে এ মালটার চাষ শুরু করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শিমুলীয়া গ্রামের আবুল হাসেম মালটা চাষ শুরু করেছে। এবারই তার গাছে মালটা ধরেছে। আবুল হাসেম একেবারেই বিষমুক্ত মালটা চাষ করছেন। তাছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়। এ অঞ্চলের মাটি এ মালটা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। বানিজ্যিকভাবে এ মালটা চাষ করলে কৃষকরা আরো লাভবান হবে বলেও জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!