• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মিরপুরে বিহারী উচ্ছেদ নিয়ে বিক্ষোভ


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১১, ২০১৬, ০১:০৫ পিএম
মিরপুরে বিহারী উচ্ছেদ নিয়ে বিক্ষোভ

বিহারিদের উচ্ছেদ নিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দারা। রোববার (১১ ডিসেম্বর) এমসিসি ও এফজি ক্যাম্পে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করায় তারা বিক্ষোভ শুরু করে।

উর্দুভাষীদের অভিযোগ, আপিল বিভাগের সর্বশেষ স্থিতাবস্থার আদেশকে উপেক্ষা করে কয়েকদিন ধরে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দাদন ফকির তাদের উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছেন।

তাদের দাবি, চলতি বছরের ২৯ মার্চ ক্যাম্প উচ্ছেদের বিরুদ্ধে করা ৯টি রিট আবেদন খারিজ করে ক্যাম্প উচ্ছেদ করার একটি রায় দেন হাইকোর্ট। পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির গত শুক্রবার ক্যাম্পের নেতাদের ডেকে হাইকোর্টের ‘সেই রায়ের’ কথা উল্লেখ করে উচ্ছেদ করার বিষয়টি জানান।

ওসি তাদের জানিয়েছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর মিরপুর ১১/সি রোড ১১ তে অবস্থিত বিহারিদের এমসিসি ক্যাম্প ও ফুটবল গ্রাউন্ড ক্যাম্পে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

যদিও বিহারিরা বলছেন, ক্যাম্পের নেতারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গেলে আপিল বিভাগ প্রথমে ৬ সপ্তাহের ও পরে লিভ টু আপিলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। সে রায়কে গ্রাহ্য করছে না থানা পুলিশ।

ক্যাম্পবাসী বিহারিরা জানান, গত বুধবার দুপুরে পল্লবী থানার সেকেন্ড অফিসার শাহআলমের নেতৃত্বে প্লট মালিকরা ক্যাম্প উচ্ছেদের চেষ্টা করলে বিহারিরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। একসময় মিরপুর-১১ নন লোকাল রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সেকেন্ড অফিসারের কথা কাটাকাটি হয় এবং ক্যাম্পবাসীদের প্রতিবাদের মুখে পুলিশ ও প্লট মালিকরা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

শুক্রবার পল্লবী থানার ওসির ক্যাম্প উচ্ছেদের হুমকির প্রতিবাদে মিরপুর ১১/সি রোড ১১ তে বিভিন্ন ক্যাম্পের উর্দুভাষীরা সকাল থেকেই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষুব্ধ বিহারিরা বলেন, আমাদের ক্যাম্প উচ্ছেদের কার্যক্রম বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

এ ব্যাপারে উর্দুভাষী ছাত্র আন্দোলন (ইউ.এস.পি.এস.এম) বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান খান বলেন, আদালত প্রথম যে রায় দিয়েছেন সেটার ভিত্তিতেই আমাদের সরাতে চায় পুলিশ। কিন্তু সর্বশেষ আপিল বিভাগ দুপক্ষকে স্থিতাবস্থার যে রায় দিয়েছেন সেটা প্রণিধানযোগ্য হওয়ার কথা। কিন্তু পুলিশ তা গ্রাহ্য করছে না। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনেও যাচ্ছি। আদালতেও যাচ্ছি। ১২ তারিখের মধ্যে যদি আমাদের জোর করে উচ্ছেদ করা হয় তবে আমরা দেশব্যাপী আন্দোলনে যাবো।

এ ব্যাপারে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দাদন ফকির বলেন, ২০১৪ সালে একটা রিট হয়েছিল। সেই রিটের রায়ে হাইকোর্ট বিহারি ক্যাম্প উচ্ছেদের কথা জানায়। কিন্তু গত এক বছরেও কেন বিহারি ক্যাম্প উচ্ছেদ করা হয়নি সেজন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর জন্য বলেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আগামী ১২ তারিখে উচ্ছেদের রায় কার্যকরের কথাও বলেছেন।

ওসি বলেন, বিহারিরা যে রিটের কথা বলেছে সেটা ও আমরা যে রিটের আদেশ বাস্তবায়নে উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছি তা আলাদা। বিষয়টি বিহারি ক্যাম্পবাসী বুঝতে চাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, পুলিশের এখানে কোনো স্বার্থ নেই। আদালত ডিএমপি কমিশনারকেও উচ্ছেদে সহযোগিতার জন্য আদেশ দিয়েছেন। আমরা সেই আদেশই পালন করছি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!