• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেসিদের আত্মসমর্পণে কাঁদলেন ম্যারাডোনা


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ২২, ২০১৮, ০৬:৫৬ পিএম
মেসিদের আত্মসমর্পণে কাঁদলেন ম্যারাডোনা

ঢাকা : ১৯৯০ বিশ্বকাপের কথা মনে আছে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতা আর্জেন্টিনা টানা দ্বিতীয়বার উঠল ফাইনালে দিয়েগো ম্যারাডোনার নেতৃত্বে। আগের বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে। তাই সবাই ভেবে নিয়েছিলেন এবার সেই কাজটি করে দেখাবেন ম্যারাডোনা। কিন্তু ৯০ বিশ্বকাপের ফাইনাল আর্জেন্টিনা হেরে গেল পশ্চিম জার্মানির কাছে। টানা ট্রফি জয়ের এত কাছে এসেও না ছুঁতে পেরে অঝোরে কেঁদেছিলেন ম্যারাডোনা।

সেই দৃশ্য যারা দেখেছেন তারা কখনো তা ভুলতে পারবেন না। সেই ঘটনার ২৮ বছর কেটে গেছে। তারপর আবার কাঁদতে দেখা গেল ম্যারাডোনাকে। লিওনেল মেসিদের অসহায় আত্মসমর্পণে মাঠে বসেই কান্না লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেও পারেননি।

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই গ্যালারিতে বেশ প্রাণবন্ত ছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু ম্যাচ শেষেই রাজ্যের হতাশা তাঁর চোখে-মুখে। হাত দিলেন মাথায়, আলতো করে মুছলেন চোখটাও। চোখের সামনে উত্তরসূরিদের এমন অসহায় আত্মসমর্পণ কীভাবে মেনে নিতে পারেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

আর্জেন্টিনার এই দলে হয়তো ম্যারাডোনার মতো কেউ ছিলেন না। কিন্তু একজন মেসি ছিলেন। তাঁকে যে গোটা ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেল না। মেসি যেন নিজের ছায়া হয়ে থাকলেন।

ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ শুরুর অনেক আগে থেকেই হোর্হে সাম্পাওলির কোচিং পছন্দ করতেন না। তাঁর কড়া সমালোচনা করেছেন বেশ কয়েকবার। তিনি তো এও বলেছিলেন, বিশ্বকাপে এই দল একটি ম্যাচও জিততে পারবে না। এখন দেখা যাচ্ছে, ম্যারাডোনার কথাই ফলছে। কিন্তু মন থেকে তো সবসময়ই তিনি আর্জেন্টিনার জয়ই কামনা করেন।

যেটি গত দুটি ম্যাচেই আর্জেন্টিনা দেখাতে পারল না। আর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মেসিরা এত বাজেভাবে হারল যেটা কল্পনাও কেউ করেনি। ০-৩ গোলের হার হজম করতে আর্জেন্টিনার কষ্টই হবে। কারণ গত ৬০ বছরে গ্রুপ পর্বে এত পরাজয় দেখেনি আর্জেন্টিনা। সত্যি, আর্জেন্টিনার ফুটবল ঐতিহ্যেই আঘাত হেনেছে ক্রোয়েশিয়া। আর উত্তরসূরীদের কাছ থেকে এমন দৃশ্য দেখে চোখই ভেজালেন ম্যারাডোনা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!