• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকায় চতুর্থবারের মতো পালিত যোগব্যায়াম দিবস

যোগব্যায়ামে আগ্রহ বাড়ছে


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ২১, ২০১৮, ১০:৪৬ পিএম
যোগব্যায়ামে আগ্রহ বাড়ছে

ঢাকা : কয়েক দিন আগেও যোগব্যায়াম নিয়ে ঢাকায় এত আগ্রহ দেখা যায়নি। আন্তর্জাতিকভাবে চতুর্থবারের মতো ঢাকায় যোগ দিবস উদযাপন হয় বৃহস্পতিবার (২১ জুন)। আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল ভারতীয় দূতাবাস। আয়োজনে ভেন্যু ছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। ব্যাপক কোনো প্রচারও ছিল না। তবু ভোর সাড়ে ৫টায় স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেই থমকে যান সবাই। এ কী এত সকালে এসেও এতো লম্বা লাইন। গত কয়েক দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানতে পেরে অনেকে জড়ো হয়েছে এখানে। উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ।

স্টেডিয়ামে প্রবেশে ছয়টি গেটের ব্যবস্থা রাখে আয়োজকরা। উন্মুক্ত হওয়ায় সবার আগ্রহ ছিল বেশি। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা দেখে রীতিমতো হতভম্ব ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারাও। প্রতিটি গেটের সামনে ছিল লম্বা লাইন। সকাল ৬টায় গেট খোলার কথা থাকলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছুটা সময় নেয় কর্তৃপক্ষ। হিমশিম খেতে দেখা যায় নিরাপত্তাকর্মীদের। পরে পৌনে ৭টায় খুলে দেওয়া হয় গেট। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোর ৪টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা। উদ্দেশ্য যোগব্যায়াম শেখা। অনেকে লম্বা সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও স্টেডিয়ামে ঢুকতে না পেরে ফিরে গেছেন। আবার অনেকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারলেও জায়গা হয়নি মাঠে। ইয়োগা ম্যাট নিয়ে যতজন মাঠে ছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি লোক ছিলেন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। অনেকে অভিযোগ করেছেন অব্যবস্থাপনার। এসব দেখে হতবাক বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

তিনি বলেন, ‘আমি স্বপ্নেও ভাবিনি, এত মানুষ ইয়োগার প্রতি আগ্রহী হবে। প্রথমবার যখন আয়োজন করেছিলাম, তখন মাত্র ৭০০ জন অংশ নেয়। আর গতবার অনেক কষ্টে হাজার পাঁচেক অংশগ্রহণকারী জড়ো করেছিলাম আমরা। কিন্তু এবার বাঁধভাঙা লোক। আপনাদের এমন আগ্রহ দেখে আমি অভিভূত। আমি জানি আপনাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। এজন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে এ অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে। আগামীবার আরো ভালো এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করব।’

২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে বছর ১১ ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হয়। এরপর ২০১৫ সাল থেকে ২১ জুন বিশ্বব্যাপী যোগ দিবস পালন করা হয়। একই বছর থেকে ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করে আসছে। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস।  

গতকাল সকালে দিবসটির উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘যোগব্যায়াম করলে শরীর ও মন ভালো থাকবে। টেনশন দূর হবে। ঈর্ষাকাতরতা থাকবে না। মানসিক যন্ত্রণা দূর হবে। দেশে মাদকের হিংস্র ছোবল দেখা দিয়েছে। এই মাদকের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারে যোগব্যায়াম। যোগব্যায়ামের ফলে তরুণ ও কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।’

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ভিডিও বার্তাও প্রচার করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!