• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে উৎসবমুখর পরিবেশে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন


রাজশাহী প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭, ০৪:৪০ পিএম
রাজশাহীতে উৎসবমুখর পরিবেশে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন

নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী: রাজশাহীর পবা উপজেলার ভালাম ভবানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উৎসবমুখর পরিবেশ অনুষ্ঠিত হলো স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচন উপলক্ষে বিদ্যালয় মাঠের গাছগুলোতে রং পেন্সিল দিয়ে হাতে তৈরি পোস্টার টাঙানো হয়েছে। যেনো পুরোটাই নির্বাচনের পরিবেশ।

রাজশাহী মহানগরীর ৬০টি ও জেলা পাঁচ শতাধিক বিদ্যালয়ে এ স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সকাল থেকে ভোট দিতে শিশুরা লাইন ধরে দাঁড়ায়। নির্বাচনে ছাত্র-ছাত্রীরাই প্রার্থী হয় এবং ভোট দেয়। এ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের ন্যায়ই সবকিছু হয়। শুধু স্ব স্ব স্কুলের শিক্ষকরা নির্বাচনে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন।

ভালাম ভবানীপুর সরকারি বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ছিলো ২৬০ জন। ১৪ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলো। পঞ্চম শ্রেণিতে নির্বাচিত হয়েছে খাদিজা, মানিক ও রাহুল। চতুর্থ শ্রেণিতে তুহিন ও মাহফুজা। তৃতীয় শ্রেণিতে মাহিন ও চাঁদনী। বিজয়ীদের শপথ হবে আগামী শনিবার। ওইদিনই তাদের মাঝে দপ্তর বণ্টণ হবে।

বিদ্যালয়ের সাতটি প্রধান কার্যক্রম তদারকির করবে সাত সদস্যের এই কাউন্সিল। এসব কার্যক্রম হচ্ছে- পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, পানি সম্পদ, দুপুরের খাবার এবং অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন। প্রধান শিক্ষক এসব দায়িত্ব বণ্টন করবেন।

ভোট শেষে চলছে গননা

নির্বাচিত স্টুডেন্ট কাউন্সিল প্রতি মাসে অন্তত একটি করে সভা করবে। তবে প্রতি ছয় মাস অন্তর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে সাধারণ কাউন্সিল সভা করতে হবে।

ভালাম ভবানীপুর সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বরকতুল্লা জানান, এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। সাধারণ নির্বাচনের মতোই প্রার্থীরা বিজয়ী হতে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছে।

বিদ্যালয়টির মতো রাজশাহী জেলার অন্য বিদ্যালয়গুলোতেও ছিলো উৎসবমুখর পরিবেশ। শিশুরা আনন্দে মেতে ছিলো ও নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। প্রতিটি বিদ্যায়ল থেকে শিশুদের মধ্যে থেকেই পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্য তৈরি করা হয়। শুধু তাই না দেশি-বিদেশী সাংবাদিকও সেজেছিলো তারা। তাদের মধ্যে থেকেই নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!