রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এমডি পদে ৯ নামের তালিকা চূড়ান্ত

ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদের জন্য নয়জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় দুই জনের নাম বাদ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। নতুন ঠিক করা নয়জনের মধ্য হতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি পদে নিয়োগ দেয়া হবে। 

রোববার(৬ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এমডি পদে পদোন্নতি চূড়ান্তকরণ সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজল কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ইউনুসুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে যারা উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের(ডিএমডি) দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের মধ্য থেকে পদোন্নতি দিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) শূন্য পদ পূরণের জন্য ১১ জনের একটি তালিকা করা হয়েছিল। এদের মধ্যে থেকে নয়জনের তালিকা বৈঠকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বৈঠকে দুজনের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

যে দুজনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে তারা হলেন, অগ্রণী ব্যাংকের ডিএমডি মিজানুর রহমান খান। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জেলে ছিলেন। পরে অর্থমন্ত্রণালয় তাকে বিরখাস্ত করে। আদালতের নির্দেশে চাকরি ফিরে পেলেও ব্যাংকে যোগদান করতে পারেননি। সেই কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অন্যজন আব্দুছ ছালাম আজাদ জনতা ব্যাংকের ডিএমডি। তিনি বিসমিল্লাহ গ্রুপকে দেয়া ১০৮ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় অভিযুক্ত। তবে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তার নাম বাদ দেয়া হয়।

অর্থমন্ত্রণালয় বলছে, দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, কারো নামে কোনো অভিযোগ উঠলে তিনি যে কোনো ধরনের পদোন্নতির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে তার বিরূদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তিনি আবার পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। যে দুজনের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তারাও যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে তারাও পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তালিকায় রয়েছেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মুঈন উদ্দিন। তিনি মূলত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে চাকরিজীবন শুরু করেন। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, তিনি মূলত ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে চাকরি শুরু করেন।

পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন জনতা ব্যাংকের মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এরপরই রয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের রফিকুল ইসলাম, মশিউর আলী, অষ্টম স্থানে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি আমিন উদ্দিন আহমেদ ও তরিকুল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি ব্যাংকের মাহতাব জামিন ও ১১তম স্থানে অগ্রণী ব্যাংকের আলী হোসেন প্রধানিয়া।

যে দুজনকে বাদ দেয়া হয়েছে, তারা তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/তালেব