• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই: রাষ্ট্রপতি


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ১৯, ২০১৭, ১০:০১ পিএম
সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই: রাষ্ট্রপতি

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বলেছেন, সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই। ‘আমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে, যে সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই। সন্ত্রাসবাদই তাদের একমাত্র পরিচয় এবং আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’।

রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার ইনিষ্টিটিউট মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রজত জয়ন্তী ও সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে ভাষণকালে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক এবং আইটি সেক্টরে ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে যা বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশ এখন একটি উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এবং এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পরিণত হবে।

আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে এবং পবিত্র ইসলাম ধর্মের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ধর্মের নামে দেশে হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং উত্তর আমেরিকার অনেক দেশে ধর্মের, বর্ণ ও জাতিগত’র নামে নিরীহ লোকদের হত্যা করছে। এতে বহু লোক নিরাপদ স্থানের সন্ধানে নিজ আবাসস্থল ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, নিরীহ লোকদের হত্যা, সন্ত্রাস, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে কোন ধর্মীয় সমর্থন নেই। সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানুষ ও সমাজের কল্যাণ করা। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই দীর্ঘদিনের অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং মানবিক মূল্যবোধকে লালন করতে হবে। আমাদেরেকে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এবং মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মুক্ত দেশ গঠনে জেগে উঠতে তরুণ সমাজের প্রতি আহবান জানান। যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হবার পরই যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এবং তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করার পর এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার পুনরায় শুরু করে এবং এখনো এ বিচার চলছে। আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রশংসিত হয়েছে। -বাসস।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!