সেই এমপির ডাবের পানি!

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এস এম জগলুল হায়দারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কোমরে গামছা বেঁধে, মাথায় মাটিকাটা ঝুড়ি নিয়ে বাঁধনির্মাণ শ্রমিকদের কাতারে মিশে ফেসবুকে তুমুল আলোচনায় আসেন এমপি জগলুল।

এরপর রাস্তায় ক্ষুধার্ত মানুষকে ধরে খাওয়ানোর দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। তা নিয়ে আলোচনা শেষ হতে না হতেই প্রচণ্ড গরমে ঘামে ভেজা ক্লান্ত শ্রমজীবী মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন ডাবের পানি নিয়ে। পরম মমতায় তাদের গায়ের ঘাম মুছে দিলেন।

এমন দৃশ্য দেখা গেছে আজ বুধবার (২৪ মে) দুপুরে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। চলতি পথে এমপি জগলুল হায়দার লক্ষ্য করেন প্রচণ্ড দাবদাহে পিপাসার্ত ভ্যানচালকরা ঘেমে নেমে হাঁফফাঁস করছেন।

এসময় এমপি তার গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে যান তাদের দিকে। নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে তাদের পরম মমতায় ঘাম মুছে দেন। এরপর ডাবের পানি পান করিয়ে তাদের পিপাসা মেটান।

এমন পরিস্থিতিতে এমপিকে কাছে পেয়ে আর তাদের প্রতি আন্তরিকতা দেখে শত শত ভ্যানচালক আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা কৃতজ্ঞতার অশ্রুতে সিক্ত হয়ে পড়েন। পরে ফেসবুকে এমপি জগলুল হায়দারের এসব ছবি ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে গেল মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরের দিকে পথে যেতে যেতে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে দেখে গাড়ি থামান এমপি। এরপর নিজ হাতে তাকে খাওয়ান। এ ছবিটাও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

জগলুল হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে সবার ভালো-মন্দ দেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রচণ্ড গরমে শ্রমিক ভাইদের একটু ঠাণ্ডা পানি অনেক উপকার হবে। এই দাবদাহে রোদে বেশিক্ষণ থাকলে পানিশূন্যতাসহ নানা রোগ দেখা দিতে পারে। তাই স্বল্প পরিসরে কয়েকশ শ্রমিককে ডাবের ঠাণ্ডা পানি খাওয়ালাম।

এমন মমতার দৃশ্য দেখে এমপির এক ভক্ত কামিনী রায়ের সেই কবিতাটি লিখেছেন, ‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে, আসে নাই কেহ অবনী ’পরে, সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে....।

এ ঘটনার আগে গেল ১৪ মে সকাল ১০টার দিকে এমপি জগলুল হায়দারকে দেখা গিয়েছিল বাঁধ নির্মাণশ্রমিক বেশে। বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে আইলা বিধৌত শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পূর্ব দূর্গাবাটি এলাকায় ভেঙে যাওয়া বাঁধে মাটি কাটতে দেখা গেছে।

ভাঙন ঠেকাতে শ্রমিক হিসেবে কাজ সেখানে কাজ করেছেন এমপি। শত শত শ্রমিক থেকে তাকে আলাদা করা যাচ্ছিল না। তার এই শ্রমিক বেশের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

সোনালীনিউজ/এন