• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১৪ দলকে সর্বোচ্চ ১৫ আসনে ছাড় দেবে আ.লীগ


সোনালী বিশেষ জুলাই ৩০, ২০১৭, ০২:৪১ পিএম
১৪ দলকে সর্বোচ্চ ১৫ আসনে ছাড় দেবে আ.লীগ

ঢাকা : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য  শরিক ১৪ দলকে সর্বোচ্চ ১৫ আসন ছেড়ে দিতে পারে আওয়ামী লীগ। এর বেশি আসন দেবার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন।

যদিও সম্প্রতি ১৪ দলের এক সভায় ১০০ আসন দাবি করেছে শরিক দলগুলো। আবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের আসন পাওয়ার মতো দলের সংখ্যাও ৪ থেকে ৫টির বেশি হবে না। এসব বিবেচনা করলে ১৫ আসনের বেশি পাওয়া সম্ভব নয়।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আসন সমঝোতার মাধ্যমে ঐক্যবব্ধভাবে অংশগ্রহণ করবে। গত দুটি নির্বাচনেও আসন ভাগাভাগি হয়।

সে অনুযায়ী, আগামী নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগ কতটি আসন ছেড়ে দেবে সে বিষয়টি ইতিমধ্যে আলোচনায় আসতে শুরু করেছে। তবে গত দুটি নির্বাচনে এ জোটের শরিকদের যতটা আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল আগামী নির্বাচনে সেই সংখ্যার তেমন একটা এদিক সেদিক হবে না বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণি পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকদলগুলোর মধ্য থেকে ৪টি দলকে ১১টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি পায় ৪টি। এর বাইরে আরও ২টি আসনে ওয়ার্কার্স পার্টি বিজয়ী হয়। বর্তমানে সংসদে ওয়ার্কার্স পার্টির ১টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ মোট ৭ জন এমপি রয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টিকে ৩টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। নির্বাচিত হয় দুটিতে।

গত নির্বাচনে জাতীয় সমাতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু)কে ছেড়ে দেয় ৪টি। এর মধ্যে ৩টিতে জয়ী হয়। এর বাইরে জাসদ আরো ২টি আসনে বিজয়ী হয়। বর্তমানে সংসদে জাসদের ১টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ ৬ জন এমপি রয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জাসদকে ৪টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩টিতে নির্বাচিত হয় জাসদ।

এদিকে গত নির্বাচনের আগে ১৪ দলের জোটে যোগ দেয় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি (জেপি) ও তরীকত ফেডারেশন।

নির্বাচনে জেপিকে ১টি ও তরীকত ফেডারেশনকে ২টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। এই দুই দলের প্রার্থীরা ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে জয়ী হয়ে আসেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করবে আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে শরিকদের আসন ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করবে।

দলের প্রার্থীর অবস্থা, তার জনপ্রিয়তা ও ওই দলের সাংগঠনিক অবস্থা এসব কিছুই বিবেচনায় আনা হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দল অংশ নেবে। এর ফলে নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তাই প্রার্থী মনোনয়ন বা আসন ছেড়ে দেওয়ার সময় বিজয়ের নিশ্চয়তা কতটুকু সে বিষয়টিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।

তাই আগামী নির্বাচনে এই ৪টি দলের বাইরে ১৪ দলের অন্য কোনো শরিক দলকে আসন ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে জাসদ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আলাদা দু’টি দল হয়েছে। দুই জাসদই ১৪ দলের জোটে রয়েছে এবং দুই দলেরই এমপি আছে। এই দুই জাসদকে আসন ছেড়ে দেওয়া হবে।

তবে এই দলগুলোর বাইরে জোটে অন্য যে শরিক দল রয়েছে সে সব দল থেকে বিজয়ী হওয়ার মতো জনপ্রীয় প্রার্থী ও সে ধরনের সাংগঠনিক অবস্থা নেই বলে আওয়ামী লীগের ওই নীতি নির্ধারকরা মনে করেন। সেই সঙ্গে যে সংখ্যক আসন ছাড়া হয়েছিলো তার থেকে তিন-চারটি আসন বাড়লেও বাড়তে পারে বলে তারা জানান। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই কেউ কথা বলতে চান না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা ১৪ দলগতভাবেই আগামী নির্বাচন করতে চাই। আগামী নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ আসনে বিজয়ী হয়ে আসার মতো পরিস্থিতি হবে না।

শুধু মনোনয়ন বা আসন ছেড়ে দিলে তো হবে না, নির্বাচনে এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে যিনি বিজয়ী হতে পারবেন সে বিষয়টি ভাবতে হবে। জোট শরিকদের কতটি ছেড়ে দেওয়া হবে সেটা তো এখনই বলা যায় না।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!