• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
বাড়ছে দাম, বিপাকে রোগীরা

১৪০০০ ওষুধে সরকারের দাম নিয়ন্ত্রণে ১১৭


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৩১, ২০১৬, ০৫:৩০ পিএম
১৪০০০ ওষুধে সরকারের দাম নিয়ন্ত্রণে ১১৭

ঢাকা: দেশের বাজারে রয়েছে ১৪ হাজারেরও বেশি ওষুধ। এর মধ্যে জেনেরিক বা মূল ওষুধের সংখ্যা তিন হাজারের মতো। এর মধ্যে জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে সরকার দাম নিয়ন্ত্রণ করে মাত্র ১১৭টির। বাকিগুলোর ক্ষেত্রে দাম নির্ধারণের স্বাধীনতা ওষুধ ব্যবসায়ীদের হাতে।

সে কারণেই দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওষুধের দাম। দুই সপ্তাহ আগেও নিউরো-বি ও ক্যালবো-ডি নামে ব্যথা এবং ক্যালসিয়ামের ওষুধের দাম ছিল ১৫০ টাকা। হঠাৎ করে তা বেড়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা করে।

এ ছাড়া গেল এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে বেশ কিছু ওষুধের দাম। এক বছরের হিসেবে দেখা যায়, বিভিন্ন ওষুধের দাম বেড়েছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি। জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় এসব ওষুধের দাম বাড়ানোর ফলে চিকিৎসা ব্যয়ের পাশাপাশি বেড়েছে রোগী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হয়রানিও।

এ বিষয়ে ওষুধ অধিদপ্তরের ভাষ্য, যৌক্তিক কারণেই দাম বাড়ছে ওষুধের। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঔষধনীতি প্রণয়ন করা গেলে সমাধান আসবে এ সমস্যার। ওষুধের দাম বাড়ার কারণ জানতে বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাদের। তবে সরকারের যে প্রতিষ্ঠানটি তদারকির দায়িত্বে রয়েছে, নীতিগত প্রশ্নের ওজুহাত দেখিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের পক্ষেই সাফাই গাইলেন এর পরিচালক।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ‘নিশ্চয়ই প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু কারণ দেখিয়ে এগুলো করেছে। যখন কাঁচামালের দাম বেড়ে যায়, তখন তারা সেই দিকে যায়।’

সূত্রমতে, বর্তমানে দেশে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৩৬টি। এর মধ্যে শুধু অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করে ২০৭টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানিই নিয়ন্ত্রণ করে ৮০-৮৫ শতাংশ ওষুধের বাজার। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম বিষয় ছিল স্বাস্থ্যনীতির অংশ হিসেবে জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়ন। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের কোনো নীতিমালা দ্রুত কার্যকর করা গেলে একদিকে যেমন ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে ওষুধের দাম নিয়ে যে প্রশ্ন ওঠে, সে বিষয়টিরও সুরাহা হবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ওষুধের যে নীতিমালা জমা আছে, সেখানে বলা আছে, ওষুধের মূল্য কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কার থাকবে, কতটুকু থাকবে- সবই সেখানে আছে। ওষুধের দাম বাড়ার পেছনে অনেক ক্ষেত্রে বিক্রেতারাও দায়ী থাকেন।

এদিকে, একই পরিস্থিতি দেশের জেলা শহরগুলোতেও। সপ্তাহের ব্যবধানে ওষুধের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। আর ওষুধের দাম বাড়া নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেও এর কারণ সম্পর্কে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বিক্রেতারা।

সোনালীনিউজ/এমএন 

Wordbridge School
Link copied!