• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৬ ঘণ্টা ধর্ষণ করে মেরে ফেললো গন্ডারকে! (ভিডিও)


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৭, ২০১৭, ১১:০২ পিএম
৬ ঘণ্টা ধর্ষণ করে মেরে ফেললো গন্ডারকে! (ভিডিও)

ঢাকা: সদ্য যৌবনে পা রেখেছিলো মাদি গন্ডারটি। সঙ্গম কি সে সম্পর্কে এখনো কিছুই রপ্ত করতে পারেনি সে। কিন্তু তাতে কি, প্রকৃতির নিয়মে ওই মাদির দিকে আকর্ষিত হয়ে পড়ে ছয় পুরুষ গন্ডার। তাদের যে সঙ্গম করতেই হবে। আর ছয় পুরুষ গন্ডারের জোরপূর্বক যৌন সঙ্গমের ফলে মৃত্যু হলো অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী গন্ডারের। ঘটনাটি ঘটেছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের উত্তর রেঞ্জের পঞ্চাশ ফুট বিটের জঙ্গলে।

ওই ছয় পুরুষ গন্ডার একত্রিত হয়ে বন্য ভঙ্গিতে ফুঁসলাতে শুরু করে ওই মাদি গন্ডারটিকে। কিন্তু সঙ্গমে অনভিজ্ঞ ওই স্ত্রী গন্ডারকে কোনো ভাবেই বাগে আনতে না পেরে প্রবল আক্রোশে মাদির ওপর চড়াও হয় ছয় মাদা। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা ধরে চলে ওই ছয় মাদা অত্যাচার! সারা দেহে মারাত্মক ক্ষত নিয়ে একসময় রক্তাক্ত অবস্থায় জঙ্গলের ভিতরে লুটিয়ে পড়ে মাদি গন্ডারটি।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বনকর্মীরা সেখানে গিয়ে শূন্যে গুলি ছুড়ে নাছোড় ওই ছয় পুরুষ গন্ডারকে তাড়াতে সক্ষম হলেও ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। দেহের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক ক্ষত থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মারা যায় মাদি গন্ডারটি। জঙ্গলের গভীর থেকে মাদি গন্ডারটির নিথর দেহ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।

সাধারণত প্রজননের মৌসুমে সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়ে গভীর জঙ্গলে পুরুষ গন্ডারের মৃত্যুর ঘটনার বহু নজির থাকলেও সঙ্গমে অরাজি কোনো মাদি গন্ডারকে এমন নির্মমভাবে নির্যাতনের নজির খুব একটা নেই বলে দাবি বনকর্তাদের।

ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা গেছে, দেহের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গন্ডারটির মৃত্যু হয়েছে। গন্ডারটির শৃঙ্গ অক্ষত অবস্থায় মিলেছে বলে জানিয়েছেন জলদাপাড়া বন বিভাগের ডিএফও কুমার বিমল।

এশিয়ান রাইনো গ্রুপের চেয়ারম্যান বিভব তালুকদার জানিয়েছেন, প্রাকৃতিকভাবে একটি পুরুষ গন্ডারের জন্য কমপক্ষে তিনটি মাদি গন্ডার থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে জলদাপাড়ায় পুরুষ ও মাদি গন্ডারের সমানুপাতিক হার দাঁড়িয়েছে দশটি পুরুষ গন্ডারের বিপরীতে একটি মাদি গন্ডার। এর ফলে ওই জঙ্গলে পুরুষ গন্ডারদের মধ্যে এই ধরনের নৃশংসতার প্রবণতা দেখা দিতে শুরু করেছে।

তিনি আরো জানান, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। তাই জরুরিভাবে অন্য রাজ্যের সঙ্গে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে পুরুষ ও মাদি গন্ডারের সমানুপাতিক হার ঠিক না করতে পারলে জলদাপাড়ায় ঘোরতর বিপদ আসন্ন।

উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার প্রধান মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে প্রকল্পটি বেশ সময়সাপেক্ষ। তাছাড়া সময় নষ্ট করার সময় নেই আমাদের হাতে। যেভাবে পুরুষ গন্ডাররা কাম উত্তেজনায় মাদি গন্ডারটিকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে, সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়ে পুরুষ গন্ডারদের মধ্যে এ ধরণের ঘটতে দেখা যায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!