• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গরু-ছাগলের জন্য বীমার পরিকল্পনা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৩, ২০১৯, ০৬:৩৪ পিএম
গরু-ছাগলের জন্য বীমার পরিকল্পনা

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, গবাদি পশুর জন্য বীমা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে একথা জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার গবাদি পশুর জন্য বীমা চালু করা, দরিদ্র নারীদের ক্ষুদ্র বীমার আওতায় আনার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করা এবং সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালুর পরিকল্পনা করেছে। বীমা খাতে ডিজিটালাইজেশন ও এর পেনিট্রেশন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুযোগে ফসলহানির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক। এ থেকে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি হতে কৃষকদের রক্ষার্থে ‘শস্য বীমা’ একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু করা হবে। এ ছাড়া বৃহৎ প্রকল্পের মাধ্যমে সৃষ্ট সম্পদের বীমা দেশীয় বীমা কোম্পানির মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক কোম্পানির সঙ্গে যৌথ বীমা সম্পাদনের ব্যবস্থা করা হবে। লস অফ প্রফিটের জন্য বীমা চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে। কারখানা শ্রমিকদের জন্য দুর্ঘটনাজনিত বীমা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জীবন বীমা আমাদের দেশে অনেক দুর্বল, এটাকে জনপ্রিয় করা গেলে এটা অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন হয়। এটি দেশের ৪৮তম এবং বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। বরাবরের মতো বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট। যদিও গত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।

শুরুতে দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও পরে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজ আসনে বসে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। কিন্তু বিকেল ৪টার পর অসুস্থ অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন সম্ভবপর না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাকি অংশ সংসদে উপস্থাপন করেন।

বিকেল ৪টা ৪১ মিনিটে ‘প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উপস্থাপিত হলো’ মর্মে ঘোষণা দেন স্পিকার।

প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে ৩০ জুন। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।

এর আগে মন্ত্রিসভা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয়। বাজেট ঘোষণার আগে দুপুর ১টার একটু পর জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা এ অনুমোদন দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর মূল বাজেটের আকার দাঁড়ায় চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় করতে না পারা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ খরচ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয় চার লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেট থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বেশি।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!