• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুলের মাঠে প্রভাবশালীদের চাষাবাদ, জড়িত কর্তৃপক্ষও


ঝালকাঠি প্রতিনিধি জুলাই ৯, ২০২১, ০৯:০৮ পিএম
স্কুলের মাঠে প্রভাবশালীদের চাষাবাদ, জড়িত কর্তৃপক্ষও

ছবি : ফিরোজা মজিদ বিদ্যালয়

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় তিনটি স্কুল মাঠ চষে পুরোদমে চাষাবাদ শুরু করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষককের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে চলছে চাষাবাদ। আর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুরের ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফিরোজা মজিদ বিদ্যালয় ও ৩১ দক্ষিণ রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের দৃশ্য একই রকম।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় প্রয়াত সেকেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে মো. মোশারফ আলী হাওলাদার ট্রাকটার দিয়ে দক্ষিণ রাজাপুরের ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে চাষ করেছেন। 

এদিকে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ নষ্ট হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক স্কুলমাঠ ভাড়া দিয়েছেন। স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা এখানে এস খেলাধুলা করে। কিন্তু এখন আর খেলাধুলার সে সুযোগ তাদের রইলোনা।

ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

সরেজমিনে দেখা যায় ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মোশারফ আলী হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে জমি চাষ করছে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছ থেকে নগদ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম স্কুলমাঠ চাষ করার অনুমতি নিয়েছেন। 

এদিকে দক্ষিণ রাজাপুরের ফিরোজা মজিদ বিদ্যালয়ের মাঠেও একই অবস্থা। সেখানেও বীজতলা তৈরির অনুমতি দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই মাঠেও চাষাবাদ করে ধানের বীজ বপন করা হয়েছিল। এখন ধানের চারাও বড় হতে শুরু করেছে।

এ সম্পর্কে ফিরোজা মজিদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফিরোজ আলম বলেন, স্কুলের দপ্তরী আমার অনুমতি নিয়েই বীজতলা তৈরি করেছে। এখন স্কুল বন্ধ তাই অনুমতি দিয়েছি। 

অপরদিকে ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, সব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি জানে। 

ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আলিম আল মাসদ জানান, এখনতো স্কুল বন্ধ,  মাঠে বীজতলা তৈরি করলে এর সুবিধা কোন না কোন ভাবে সবাই ভোগ করবে। 

এ ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের খেলার মাঠে বীজতলা তৈরির কোন বিধান নেই। যদি কেউ করে থাকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এসএন 

Wordbridge School
Link copied!