• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
গাজীপুরের দুর্ঘটনা

ট্রেনের সূচিতে গড়বড়, ভোগান্তি যাত্রীদের


গাজীপুর প্রতিনিধি মে ৪, ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
ট্রেনের সূচিতে গড়বড়, ভোগান্তি যাত্রীদের

গাজীপুর : গাজীপুরের জয়দেবপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের পর থেকে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনের সূচিতে গড়বড় দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের অদূরে উত্তরবঙ্গগামী তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে ঢাকাগামী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষ হয়।

তার কয়েক ঘণ্টা পর থেকে পাশের লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও উদ্ধার কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি বলে জানিয়েছেন জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হানিফ মিয়া।  

এদিকে শনিবার (৪ মে) সকালে সরেজমিনে জয়দেবপুর জংশনে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলার শত শত যাত্রী গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে অপেক্ষা করছেন।

স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে কথা হয় রাজশাহী যেতে ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থাকা গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তন্ময়ের সঙ্গে।

তন্ময় বলেন, বন্ধুকে নিয়ে রাজশাহী যাব।  সেজন্য টিকেট কেটে সকাল পৌনে ৭টা থেকে ট্রেনের অপেক্ষায় জয়দেবপুর জংশনে বসে আছি। কিন্তু সকাল ১০টার দিকেও ট্রেনের দেখা মেলেনি।

জামালপুরগামী তিস্তা ট্রেনের জন্য জয়দেবপুর জংশনের প্লাটফর্মে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসেছিলেন আরেক যাত্রী রনি।

উত্তরার একটি বায়িং হাউসে কাজ করা এই যাত্রী বলেন, গ্রামের বাড়ি জামালপুর যাব, সেজন্য পরিবার নিয়ে সকাল সকাল স্টেশনে এসেছি। কিন্তু সাড়ে ৭টার তিস্তা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ট্রেন স্টেশনে পৌঁছেনি। পরিবার নিয়ে কি যে ভোগান্তিতে পড়েছি।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের সিগন্যাল ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকেই ট্রেন চলাচলে ‘এভনরমাল টাইমিংয়ে পাস’ করছেন তারা। একটি লাইনে দুই দিকের ট্রেন চলাচলে এই শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন থেকে আপলাইনে ময়মনসিংহগামী বলাকা এবং ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ডাউন লাইনে ছেড়ে চলে গেছে বলে জানান তিনি।

স্টেশন মাস্টার মো. হানিফ মিয়া জানান, এক লাইনে ট্রেন চলাচল করতে গিয়ে রেশনিং পদ্ধতিতে ট্রেন চালানো হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ধীর আশ্রম স্টেশন এবং জয়দেবপুর জংশনে ট্রেন অপেক্ষায় রেখে একটি একটি করে ট্রেন দুই দিকে চলতে দেওয়া হচ্ছে এতে করে কোনো ট্রেনেরই শিডিউল ঠিক থাকছে না।

হানিফ মিয়া আরও জানান, শুক্রবারের দুর্ঘটনায় টাঙ্গাইল কমিউটারের পাঁচটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়,দুটি ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও শনিবার সকাল ১১টায় উদ্ধার কাজ শেষ হয়নি।

এর মধ্যে শনিবার ১১টা পর্যন্ত দুই ট্রেনের ইঞ্জিনসহ আটটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে আর বাকি দুইটির উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজে আরও দুই-আড়াই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানান স্টেশন মাস্টার হানিফ।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!