সিলেট: নান্দনিক নির্মাণ শৈলীর হোটেলের রুমগুলোর ইন্টেরিয়র, ‘ক্রিমজ’ কফি লাউঞ্জ, ‘সুফরা’ রেস্টুরেন্টের আলো ছায়ায় খেলা আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে। রুফটপ রেস্টুরেন্ট ‘আংরা’য় কফি হাতে বসে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে করতে দেখে নিতে পারেন পাখির চোখে গোধূলি বেলায় পূণ্যভূমি সিলেটের রূপ।
শুধু আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর ইন্টেরিয়র আর আলোর খেলা নয় চিরচেনা বাংলা, থাই, চাইনিং খাবারের পাশাপাশি অথেনটিক টার্কিশ ও অ্যারাবিয়ান ডিশগুলো আপনাকে দেবে রসনায় নতুন অভিজ্ঞতা।
এক ছাদের নিচে এমন সব মনোমুগ্ধকর আয়োজন নিয়ে পর্যটন নগর সিলেটে শুক্রবার (১৬ মে) উদ্বোধন হল হোটেল ‘রয়েল মার্ক’।
নগরের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে হোটেল রয়েল মার্কের যাত্রা শুরুলগ্নে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা) মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেছেন, এই হোটেল একটি আন্তর্জাতিকমানের হোটেল হবে, এখানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যক্তিত্বরা আসবেন এমনটা আমাদের প্রত্যাশা।
মুশফিকুল আরো বলেন, ‘এই হোটেল যারা করেছে তারা সিলেটের ব্যবসাবাণিজ্যে মোটামুটি জায়ান্ট। তাদের পাওয়ার সেক্টর, হসপিট্যালসহ বিভিন্নখাতে বিনিয়োগ রয়েছে। এটাও একটা সেবা খাতের প্রতিষ্ঠান।’ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আশা করি এই হোটেল একটি আন্তর্জাতিক মানের হোটেল হবে এবং এখানে অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব আসবেন।’
তিনি বলেন,‘আমি শুনেছি রয়েল মার্ক আন্তর্জাতিকমানের হোটেল। এটা খুব আধুনিকমানের হোটেল এবং ৫০টি রুম রয়েছে, সেখানে দুটি বল রুম রয়েছে, ক্রিমজ’ কফি লাউঞ্জ, সুফরা’ রেস্টুরেন্ট এবং রুফটপ রেস্টুরেন্ট। আমি বলব- হোটেলের মানের দিকে যেনও ঠিক থাকে, এতে করে ব্যবসা আর উন্নতি এবং সমৃদ্ধি হবে।’
রয়েল মার্ক হোটেলের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে রয়েল মার্ক হোটেলের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেন, আপনারা জানেন উপরে আমাদের একটা লাইভ রুফটপ কিচেন আছে। আপনারা যে কোনো সময় আমাদের কিচেন পরিদর্শন করতে পারবেন। আমরা ফুল হাইজিন মেন্টইন করে ভালো ফুড সরবরাহ করব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটে থ্রী স্টার মানের মর্যদায় ‘রয়েল মার্ক’ হোটেলটি ওপেনিং হতে যাচ্ছে। প্রোগ্রামের সময় যা যা বলেছেন, শেষদিন পর্যন্ত যেন সেটা বজায় থাকে। এই হোটেল আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত রইল।’
এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌস, হোসেন সিলেট মেট্রপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাওলানা খাইরুল, পরিচালক ফাহিম আহমদ চৌধুরী, সিলেট ক্লাব লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বারাকা গ্রুপের পরিচালক আফজাল রশিদ চৌধুরী, পরিচালক বারাকা গ্রুপ নাঈম আহমদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হুজাইফা তারিক। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মিজানুর রহমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট খন্দকার সিপার আহমদ, বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান সেলিম, নাসিম হোসেইন, আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, ব্যবসায়ী নেতা এহতেশামুল হক, আলীমুল এহসান, জিয়াউল হক, মুজিবুর রহমান মিন্টু, সায়েম আহমদ, সিলেট মেট্রেপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি ফেরদৌস আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন রোহেনা সুলতানা।
এ সময় রয়েল মার্ক হোটেলের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা থ্রি স্টার মানের একটি হোটেল করেছি ও হোটেলে সামগ্রী পর্যটন পরিচালনা করতে আপনার সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা আশা করি আগামীদিনের এই সিলেটে পর্যটক বলেন আর বিদেশি বলেন আর দেশের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে আসা সিলেটকে দেখার জন্য জানার জন্য বা সিলেটের যেকোনো কাজে যারা আসবেন, তা আমাদের সিলেটে আবাসন সমস্যা রয়েছে। আবাসন সমস্যা সমাধন লক্ষে আমরা এই হোটেলের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। এই যাত্রাকল্পে আমরা আপনার সহযোগিতা কমনা করছি।’
মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদি বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানে সাফল্য কামনা করছি। এবং যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে সিলেট একটি পর্যটন নগর সেটি আমরা সবাই বলি। যারা এই প্রতিষ্ঠানটি করেছেন অথবা সিলেটে এই মানের যে হোটেলগুলো আছে সেই হোটেলগুলোতে যাতে আমাদের পর্যটকরা নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ থাকতে পারেন এই পরিবেশ যাতে এনসিওর করা হয় এই বিষয়ে প্রতি আমি কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাধারণ সম্পাদক মহানগর বিএনপি এমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘রয়েল মার্ক’ হোটেলের সাফল্য কামনা করি। এবং যারা এই রয়েল মার্কসহ এই গ্রুপটি যেভাবে দেশের মানুষের কাজ করছে অর্থাৎ দেশের কর্মস্থান হবে দেশের রেভিনিউ আর্নিং হবে। সেহেতু আমি তাদেরকে তাদের এই অগ্রযাত্রা শুরু হোটেল নয় আমি আশা রাখি এই সিলেটে তাদের মাধ্যমে একটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে।
এআর